রোকেয়া পদক পাচ্ছেন বিবি রাসেল ও তাইবুন নাহার
নারী শিক্ষা বিস্তার, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিবি রাসেল ও মরহুম ড. তাইবুন নাহার রশীদকে রোকেয়া পদক দেবে সরকার।মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) রোকেয়া দিবসে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মনোনীতদের (মরহুমের পরিবারের কাছে) কাছে ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০১৫’ তুলে দেওয়া হবে।
তারা পুরস্কার হিসেবে পাবেন এককালীন এক লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক ও একটি সম্মাননাপত্র।
বিবি রাসেল ১৯৫০ সালে চট্টগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মোখলেসুর রহমান সিধু এবং মাতা সামসুন নাহার রহমান। তিনি ১৯৬৭ সালে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৭৫ সালে ফ্যাশন ডিজাইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিবি রাসেল বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের উন্নয়ন, ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ও তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। দরিদ্র মানুষের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের সামনে উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে তিনি নিয়োজিত আছেন। দেশীয় উপাদানে নান্দনিক পোশাক ডিজাইনের বিশেষ অবদান রয়েছে বিবি রাসেলের।
অন্যদিকে, তাইবুন নাহার রশীদ ১৯১৯ সালের ৫ মে ঢাকা জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৪৭ সালে জলপাইগুড়ি মুসলিম মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও কর্মসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের জাতীয় মহিলা রক্ষীবাহিনীর অফিসার ইনচার্জ ছিলেন।
তাইবুন ১৯৭১ সালে নারীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেন। তিনি ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
তাইবুন নাহার ১৯৯৫ হতে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ২০০৩-০৫ পর্যন্ত ডিওএইচএস মহিলা সমিতি, ক্যান্টনমেন্টের সভাপতি এবং শতদল লায়ন ক্লাব, ঢাকার সভাপতি ছিলেন।
তাইবুন রশীদ বহু কবিতা, ছোটগল্প ও উপন্যাস লিখেছেন। কলকাতার গৌড়বঙ্গ সাহিত্য পরিষদ ১৯৫০ সালে তাকে কবিরত্ন উপাধিতে ভূষিত করে।