ঝিনাইগাতীতে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গণধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র মোবাইলে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ২ ধর্ষক গ্রেফতার
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গণধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিওচিত্র মোবাইলে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোরে ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই যুবকদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। এরা হচ্ছে ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা খামারপাড়া গ্রামের আবুল কুলির ছেলে ট্রলিচালক আলাউদ্দিন (২৫) এবং পাশ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার দোহালিয়া গ্রামের মৃত ইউছুফ আলীর ছেলে শাহীন (২৬)। ওই ঘটনায় ওই প্রতিবন্ধী মেয়ের নানী বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় গণধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার রিমান্ডের আবেদনসহ আটক ২ যুবককে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী কন্যার পিতা-মাতা ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করায় সে পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার বড়ডুবি গ্রামের নানীর হেফাজতে থাকতো। প্রায় ৫ মাস আগে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরী কাউকে কিছু না বলে একা একা তার দাদীর বাড়ির দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে টেংরাখালি এলাকায় একা পেয়ে লম্পট আলাউদ্দিন ও শাহীনসহ ৩/৪জন ওই কিশোরীর পিছু নেয় এবং তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার বিষয়টি টের পেয়ে ফুসলিয়ে ভালো খাবার দেয়ার প্রলোভনে তাকে পার্শ্ববর্তী নির্জন জায়গায় নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষকরা তাদের মোবাইলে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে তাকে ছেড়ে দেয়। কিছুদিন পর ওই প্রতিবন্ধী দাদীর বাড়ি হয়ে আবারও তার নানীর কাছে ফিরে গেলেও ধর্ষণের ঘটনাটি চেপে যায়।
এদিকে গত এক সপ্তাহ আগে মালিঝিকান্দা ও তিনানী বাজার এলাকায় বিভিন্ন যুবকের মোবাইলে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। এতে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হলে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে সব ঘটনা খুলে বলে। পরে বিষয়টি জেলা পুলিশকে অবহিত করা হলে সোমবার রাতে ভিডিও ফুটেজ দেখে ধর্ষকদের সনাক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে শেরপুরের এএসপি (সার্কেল) মো. শাহজাহান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। ওই ঘটনায় আরও ২/১ জন জড়িত থাকতে পারে। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।