এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন পে-স্কেল কার্যকর : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, নতুন পে-স্কেল কার্যকরের আদেশ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই জারি হবে। তিনি বলেন, পে-স্কেল কার্যকরের আদেশ আইন মন্ত্রণালয়ে অপেক্ষমাণ রয়েছে। আজকালের মধ্যে তা অর্থমন্ত্রণালয় আসবে। এর পরই আদেশ জারি হবে। এবারই শেষ পে-স্কেল উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে নতুন করে কোনো পে-স্কেল গঠন করা হবে না। আর বাড়ানো হবে না। বেতনের গ্রেড নিয়ে শিক্ষকদের মনোমালিন্যও দূর হয়েছে। সিলেট সার্কিট হাউসে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অর্থমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বেতন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো পরবর্তী পাঁচ বছর পর পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা বাড়ার একটি নির্দেশনা থাকবে। দুই দফায় বাড়া বেতন কাঠামোর বাকি অংশ আগামী জুলাইয়ে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া গত জুলাইয়ে কার্যকর হওয়া বেতনের একাংশের টাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একসঙ্গেই পাবেন বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে উন্নয়ন কার্যক্রম অনেক শক্তিশালী হয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সিলেটে সরকারের উন্নয়নের আরেক নিদর্শন হবে নগরীর প্রাণকেন্দ্রে বিনোদন পার্ক। এজন্য কারাগার স্থানান্তরের পর এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কারাগারে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সেলকে করা হবে ‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’।
এর আগে দুপুরে নগরীর রিকাবীবাজার কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটের আকার বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা চলছে। এবারের বাজেট থেকে আরও ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি অর্থাৎ আগামী বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার হতে পারে।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগর সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচানায় অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় অর্থমন্ত্রী সরকারের প্রথম পাঁচ বছর দেশে নিরবিচ্ছিন্ন উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ওই সময় খালেদা জিয়া উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করেছেন। দেশব্যাপী জ্বালাও-পোড়াও করেছেন। তারপরও বিশ্ব ব্যাংকে স্বল্পন্নোত ৪৮ দেশের মধ্যে শিক্ষা, শিল্প, কৃষি ও মানবউন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ নেতৃত্ব স্থানে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসায়ী বর্তমানে বাংলাদেশ নিম্নমধ্য আয়ের দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জাতিসংঘের বিশেষ কমিটির সভায় বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বলে আমাদের ধারণা। এ সময় মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হলে ২০২১ সালের মধ্যে আমদানী ও রফতানিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব সাহায্য-সহযোগিতা পাই সেগুলো কমে আসবে।
কর্মীসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।