সন্তান জন্ম দিতে বছরে মারা যান ৫২৭০ মা
বাংলাদেশে প্রতি বছর পাঁচ হাজার ২৭০ মা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনির কারণে মূলত তাদের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া জনসচেতনতা না থাকায় সমাজে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর মায়েরা অপ্রশিক্ষিত দাইদের হাতে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন।
রাজশাহীর পর্যটন মোটেলে মঙ্গলবার দিনব্যাপী ভয়েস অব আমেরিকা, ইউএসআইডি ও রেডিওটুডে আয়োজিত ‘প্রতিরোধযোগ্য শিশু ও মাতৃমৃত্যু’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এমন তথ্য দিয়েছেন ইউএসআইডি এনজিও হেলথ সার্ভিস ডেলিভারি প্রজেক্টের চিফ অব পার্টি ডা. হালিদা এইচ আখতার।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে উঠলেও প্রতি বছর জন্ম নেওয়া ৩১ লাখ শিশুর মধ্যে ১৯ লাখ তিন হাজার শিশু বাড়িতে জন্ম নিচ্ছে। এ কারণে প্রতি বছর প্রতি লাখে ১৭০ শিশু মারা যাচ্ছে। আর বাকি ১১ লাখ ৯৭ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে হাসপাতালে।
এ পরিস্থিতি থেকে মা ও শিশু মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার জন্য গর্ভবতী মায়েদের প্রতি যত্নশীল হাবার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত নার্সদের মাধ্যমে শিশু জন্ম দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এজন্য হাসপাতাল অথবা সূর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিকের মত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাবারও পরামর্শ দেন তিনি। কারণ অল্প খরচে এসব ক্লিনিকে সন্তান জন্ম দেওয়া থেকে শুরু করে গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কর্মশালায় প্রতিরোধযোগ্য শিশু ও মাতৃমৃত্যুর বিভিন্ন দিকগুলো তুলে ধরা হয়। কর্মশালা চলাকালে সাংবাদিকরা নগরীর নওদাপাড়ায় অবস্থিত তিলোত্তমার সূর্যের হাঁসি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন। তারা সেখানকার চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে খোঁজ-খবর নেন।
রাজশাহীতে কর্মরত ৩০ সাংবাদিককে নিয়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা সার্ভিসের আনিসুল হক।