ঝিনাইদহে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ

Child-Coldঝিনাইদহ জেলায় শিশু নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নিউমোনিয়ায় ৩জনসহ বিভিন্ন রোগে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে এ রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন।

এদিকে অপ্রতুল সুবিধার কারণে প্রতিদিনের বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে জেলার সদর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতালটিতে ৮টি বেডের অনুকুলে অর্ধশত রোগী ভর্তি করা হয়েছে। গাদা-গাদি অবস্থায় ভর্তি করায় শিশু রোগীদের নিয়ে তাদের অভিভাবকেরাও বিপাকে পড়েছেন।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. স্বপন কুমার কুন্ডু জানান, ঝিনাইদহে ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় শিশু রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। জেলার ৬টি উপজেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক রোগীকে সদর হাসপাতালে বহিঃবিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে শিশু রোগীদের নিয়ে চিকিৎসকেরা হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে মাত্র ৮টি বেড সরকারীভাবে বরাদ্দ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের ব্যবস্থপনায় আরও ৭টি বেডের ব্যবস্থা করায় বর্তমানে বেডের সংখ্যা ১৫টিতে দাঁড়িয়েছে।

এই ১৫টি বেডের অধিনে বর্তমানে (মঙ্গলবার) শিশু নিউমোনিয়া রোগী ৪৩ জন ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ১১ জন শিশু। প্রতি বেডে তিনজন করে শিশুকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অনেকে আবার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। স্বল্প জায়গায় এত শিশুর চিকিৎসা দিতে গিয়ে নার্স ও চিকিৎসকেরা যেমন হিমশিম খাচ্ছে ঠিক তেমনটি নাজেহাল হচ্ছেন শিশুদের অভিভাবকেরা। বর্তমানে হাসপাতালটিতে দুজন শিশু বিশেষজ্ঞের স্থানে একজন কর্মরত রয়েছেন।

হাসপাতাল সুত্র জানায় গত নভেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত তিনজন শিশু নিউমোনিয়ায়, কম ওজনে ৪ জন ও জন্মগত সমস্যা নিয়ে ৩জনসহ মোট ১০জন শিশু মারা গেছে।

আক্রান্ত শিশুদের অভিভাবকেরা বিছানা বাড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত চিকিৎসক ও নার্সের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জুনিয়র শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, শিশুদের ঠান্ডা লাগানো যাবে না। তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend