‘ধূমপায়ীদের মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হবে না’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, যারা ধূমপান করে তাদেরকে আগামী বছর থেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হবে না।
‘ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা মোকাবেলায় ডিওটি’র ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, দৈনিক ইত্তেফাক এবং ব্র্যাক যৌথভাবে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারের কনফারেন্স হলে এ গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যক্ষ্মা এখন আর অভিজাত রোগ নয়। যক্ষ্মা নিয়ে এখন আর সিনেমা হয় না। দেবদাস হয় না। যক্ষ্মা এখন সাধারণ রোগে পরিণত হয়েছে। তবে যক্ষ্মা শুধু গরীব মানুষের নয় বড় লোকেরও হয়ে থাকে। পুরোপুরি সম্ভব না হলেও যক্ষ্মাকে অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অপরিহার্য হওয়ায় এই সম্পদের মধ্য থেকে বিদ্যুৎ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও তথ্য-প্রযুক্তিতে খরচের কারণে স্বাস্থ্যেখাতে বরাদ্দের পরিমাণ কম হয়েছে। তবুও সরকারী এবং বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য সেবার কাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। দেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। দেশ ম্যালেরিয়া রোগ মুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব ছিলো বলে স্বাস্থ্যসেবায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সরকার যদি ডান হাত হয় তবে বেসরকারী সংস্থাগুলো বাম হাত।
বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যবসা করলে মুনাফা হবে। তবে আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মো. নাসিম বলেন, হাসপাতালের সামনে ফার্মেসি এবং কোনো দোকান থাকবে না। এসব দোকানে সরকারী ওষুধ পাওয়া যায়। ফেনসিডিলও পাওয়া যায়। তাই এইসব দোকান ও প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইতোপূর্বে একসঙ্গে ৬০০০ ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া এখন থেকে স্বামী ও স্ত্রী একসঙ্গে একই স্থানে চাকরির সুযোগ পাবে এবং নিজের জেলায় ডাক্তারদের পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে।
গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, ব্রাকের ওয়াশ কর্মসূচির টিবি ও ম্যালেরিয়া পরিচালক ড. আকরামুল ইসলাম, নাটাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি রশীদ ই মাহবুব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. মো. মোজাম্মেল হক। সঞ্চালনা করেন দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার আসিফুর রহমান সাগর।