মানবতাবিরোধী মামলায় বন কর্মকর্তা গ্রেফতার
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাগেরহাটের বন কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী ওরফে এ কে এম ইউসুফ আলমকে (৫৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮। সুন্দরবনের দুবলাচর এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শরণখোলা রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জামালপুরের চাঁনপুর হরিণাকান্দা গ্রামের আব্দুল খালেক ওরফে খালেক মাস্টারের ছেলে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে-‘তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর বাহিনীতে ছিলেন।’
বাগেরহাটের শরণখোলা থানার ওসি মো. শাহ আলম মিঞা বলেন, বন কর্মকর্তা ইউসুফ পরোয়ানা জারির খবর পেয়ে শরণখোলা ছেড়ে সুন্দরবনের দুবলা এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। পরে র্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তাকে শরণখোলা থানায় আনা হবে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, এ কে এম ইউসুফ আলম ১৯৭৯ সালের ৯ আগস্ট বন বিভাগে ফরেস্টার পদে যোগ দেন। ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ডেপুটি রেঞ্জার এবং কিছুদিন আগে শরণখোলার স্টেশন কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি রুহুল আমিন বলেন, এ কে এম ইউসুফ আলম মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্র ছিলেন। সে সময়ে তিনি আলবদর বাহিনীতে যোগ দিয়ে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার সুবর্ণখিলা এলাকায় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন চালান। গত ১ এপ্রিল জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলার আটজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের এই মামলা করা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ৯ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।