সম্প্রচার আইনের খসড়া মন্ত্রণালয়ে
জাতীয় সম্প্রচার আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছে খসড়া প্রণয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-কমিটি। আইনের খসড়াটি তথ্য মন্ত্রণাণলয়ে জমা পড়েছে। এখন তথ্য মন্ত্রণালয় ও আইন প্রণয়নে গঠিত মূল কমিটি এর উপর কাজ করবে।
সম্প্রচার আইনের খসড়া প্রস্তুতের জন্য গঠিত কমিটির আহবায়ক ও সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে আইনটির খসড়া প্রস্তুতের কথা জানা গেছে। খসড়াটি ইংরেজীতে করা হয়েছে। এখন এটির বাংলা ভার্সনের কাজ চলছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, খসড়া আইনে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে, মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের আগে জেল-জরিমানার বিষয়টি নিয়ে মূল কমিটি বিস্তারিত আলোচনা করে ঠিক করবে।
এর কারণ হিসেবে সূত্রটি জানায়, সম্প্রচার নীতিমালা করতে গিয়ে সরকারকে গণমাধ্যমের প্রচণ্ড সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। আইন প্রণয়ণে যাতে তেমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে সতর্ক হয়ে কাজ করতে চায় তথ্য মন্ত্রণালয়।
আইন প্রণয়ণে খসড়া উপ কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রস্তাবিত আইনে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠণের কথা বলা হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা হাইকোর্টের বিচারক পর্যায়ের সম্মান পাবেন। তাদের নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রচার কমিশন আইন এবং সম্প্রচার আইন এই দুটিকে মিলিয়ে একটি আইন করা হচ্ছে। এর আগে ‘সম্প্রচার আইন’ এবং সম্প্রচার কমিশন আইন’ নামে দুটি আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত ছিল। পরবর্তী সময়ে দুইটি আইন না করে একটি আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়।
জানতে চাইলে খসড়া উপ-কমিটির আহবায়ক ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম জানান, ‘আমরা আইনের খসড়া মিনিস্ট্রিতে দিয়ে দিয়েছি। এখন সরকার ঠিক করবে কখন-কিভাবে এটা আইনে পরিণত হবে।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৪ আগস্ট ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়। ৭ আগস্ট নীতিমালার গেজেট জারি হয়।
এরপর ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম রহমানকে প্রধান করে ৩৮ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। এতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিশিষ্টজন ছাড়াও এ্যাডভোকেট, বিজ্ঞাপন বিশেষজ্ঞ, নাট্যব্যক্তিত্বসহ সকল ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের রাখা হয়েছে।
এই কমিটি থেকে সাতজন সদস্য নিয়ে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলমকে প্রধান করে আইনের খসড়া প্রণয়নে উপ-কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল। উপ-কমিটি গঠনের প্রায় এক বছরের মাথায় সম্প্রচার আইনের খসড়া জমা পড়ল তথ্য মন্ত্রণালয়ে।
জাতীয় সম্প্রচার আইনের খসড়া সম্প্রচার কমিশন গঠনের বিষয়টিই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এর বাইরে সম্প্রচার সংক্রান্ত বিষয়ে আইনের অধীনে বিধিমালার মধ্যে বিস্তারিত থাকবে।
জানতে চাইলে খসড়া আইন প্রণয়নে গঠিত কমিটির সদস্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার জানান, খসড়াটি ইংরেজিতে করা হয়েছে। এখন বাংলায় রূপান্তর করা হচ্ছে। আমাদের কাজ শেষ, বাকিটা মূল কমিটি করবে।’