নতুন পে-স্কেল !
সব আইনি ধাপ পেরিয়ে এখন গেজেটের অপেক্ষায় রয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন পে-স্কেল (অষ্টম বেতন কাঠামো)।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভেটিং শেষ হয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদের স্বাক্ষর শেষ হয়েছে। এখন শুধু গেজেটের অপেক্ষা। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই গেজেট প্রকাশ হতে পারে। আগামী জানুয়ারি মাসেই নতুন স্কেলে বেতন পাবেন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন পে-স্কেলে নতুন কিছু সুযোগ-সুবিধা যোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকছে সিলেশন গ্রেড ও টাইম স্কেল। এখনো যারা এ সুবিধা নেননি, তাদের প্রত্যেকেই আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এ সুবিধা নিতে পারবেন। চলতি বছর কোনো ইনক্রিমেন্ট হবে না। সেটা পাওয়া যাবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে। শিক্ষকদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করবে ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়। ক্যাডাররা থাকবেন অষ্টম গ্রেডে আর নন-ক্যাডাররা থাকবেন নবম গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত। অবসর-উত্তর ছুটি বা পিআরএল সুবিধা এক বছর থেকে বাড়িয়ে দেড় বছর করা হচ্ছে। পেনশন পাবেন ৯০ শতাংশ হারে। সরকারি বাসায় বসবাসকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া বাবদ মূল বেতন থেকে যে সাড়ে ৭ শতাংশ বেতন কাটা হয়। নতুন পে-স্কেলে তা বাতিল করা হচ্ছে।
এদিকে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুন পে-স্কেলের দ্রুত গেজেট প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলছেন, আইন মন্ত্রণালয়সহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা পে-স্কেলের ভেটিং ও গেজেট নিয়ে অযথা সময় ক্ষেপণ করছে।
অর্থ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন শুরু হলে প্রথম মাস হিসেবে আগামী জানুয়ারিতেই সরকারের অতিরিক্ত প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। জুলাই-২০১৫ থেকে কার্যকর দেখানো হলে ছয় মাসেই এরিয়ার দিতে হবে জানুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গে। ফলে প্রথম মাসের বেতন-ভাতাসহ আগের ছয় মাসের বেতন-ভাতা সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।