‘ভিক্ষা নয়, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু’
ভিক্ষা চেয়ে নয়, হাত পেতে নয়, বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মাপাড়ে পদ্মাসেতুর মূল পাইলিং কাজের উদ্বোধন মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভিক্ষা চেয়ে নয়, হাত পেতে নয়, বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করছে। বাংলাদেশ পারবে। আমি বিশ্বাস করি। লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে। এখন এ স্বাধীন দেশের মানুষই পদ্মাসেতু নির্মাণ করবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শত বাধার মুখেও বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে, তারা পারে। অনেক ঝড়-ঝাপ্টা-চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আমরা পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। অনেক বাধার পর আমরা পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এখন এ কাজ যেন নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারি সেজন্য সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাই।’
বাংলাদেশের অগযাত্রা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতু সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে পদ্মাসেতুর জন্য ভিটে-মাটি ত্যাগ করা এলাকার স্থানীয় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
এদিকে বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের উত্তর মেদেনীমণ্ডলে আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যেই জনসভাস্থলে সমবেত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
এর আগে দুপুরে একটার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর পিলারের কাছে মূল সেতুর কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া শরীয়তপুরের জাজিরায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মা সেতুর নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু মধ্য দিয়ে আবারো প্রমাণ হয়েছে বাঙালি কারও কাছে মাথা নত করেনি, করবেও না। বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।’
২০১৮ সালের মধ্যে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রেনও চলবে। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের সবচেয়ে বড় প্রকল্প এই পদ্মা সেতু। দুপুরের পর মাওয়ায় এক জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ের এই সেতু দিয়ে ঢাকাসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হবে দক্ষিণ জনপদের ২১ জেলা। এ সেতু হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ বাড়বে, প্রতিবছর ০.৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য বিমোচন হবে বলে আশা করছে সরকার।