শ্রাবণীর আত্মহনন : ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
নারায়ণগঞ্জের গণবিদ্যা নিকেতনের নবম শ্রেণীর ছাত্রী হাবিবা আক্তার শ্রাবণীর আত্মহননের ঘটনায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। সদর থানায় সোমবার গভীর রাতে শ্রাবণীর বাবা মো. হাবিবউল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোহাম্মদ শাহ জালাল মঙ্গলবার সকালে জানান, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে কামরুল হাসান মুন্না ও নাসরিন আক্তারকে অভিযুক্ত করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাবিবউল্লাহ জানান, তার মেয়ে শ্রাবণীকে নকলের কথিত অভিযোগ এনে অপমান ও চপেটাঘাত করায় সে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে।
শহরের গণবিদ্যা নিকেতনে বৃহস্পতিবার বার্ষিক পরীক্ষার অংশ হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উম্মে হাবিবা শ্রাবণী। পরীক্ষা চলাকালীন অসদুপায় (নকল) অবলম্বনের অভিযোগে পরীক্ষার পরিদর্শক নাসরিন বেগম তাকে আটক করে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়ে যান। এ সময় ওই কক্ষে থাকা স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক কামরুল হাসান মুন্না শ্রাবণীকে উপর্যুপরি চড়-থাপ্পড় মারেন এবং গালমন্দ করে পরিবারের কাছে অভিযোগ করবেন বলে জানান। ওই দিনের পরীক্ষা থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়। এই অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে হাবিবা। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে স্কুলের শিক্ষিকা নাসরিন বেগম ও খণ্ডকালীন শিক্ষক কামরুল হাসান মুন্নার নাম উল্লেখ করে চিরকুট লিখে যায় ওই ছাত্রী।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রাবণীর লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভায় কামরুল হাসান মুন্নাকে সাময়িক বহিষ্কার ও নাসরিন বেগমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।