বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন
বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের ছাপ) পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী বেগম তারানা হালিম।
রাজধানীর রমনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) বুধবার বেলা ১২টার দিকে তিনি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন চালু হওয়ায় এবার বিজয় দিবসে নতুন মাত্রা যোগ হল। জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগ ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ পদ্ধতিটি চালু করা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে প্রায় ১৩০ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। কিন্তু তাদেরকে শৃঙ্খলায় আনা জরুরী। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিটি প্রথম পদক্ষেপ। যে সিম ব্যবহার করবে সেটা যেন তার নামেই হয়। প্রত্যেক গ্রাহককে নিরাপদ করাই আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক মোবাইল ফোন গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরের কাস্টমার সেন্টারে নিজের এনআইডি পরীক্ষার পর বায়োমেট্রিক দিতে হবে। এপ্রিলের পর যাদের রেজিস্ট্রেশন সঠিক পাওয়া যাবে না তাদের সিমগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিক তথ্য দিলে ফের পুনরায় ওই নম্বরটি চালু করা যাবে।’
দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে প্রত্যেকটি কাজই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করেছেন উল্লেখ করে তারানা হালিম বলেন, ‘সিম নিবন্ধনটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তবে প্রথম ধাপের সিম নিবন্ধনের এ কার্যক্রমটিও এপ্রিলের মধ্যেই শেষ হবে আশা রাখছি।’
এ সময় জানানো হয়, প্রত্যেকটি মোবাইল অপারেটর এনআইডি ডাটাবেইজের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। একজন গ্রাহক তার এনআইডি কার্ড নিয়ে সিম কেনা, রেজিষ্ট্রেশন অথবা পুনঃরেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ করবে।
কোনো কারণে যাদের এনআইডি কার্ড নেই সাময়িকভাবে হয়তো তাদেরকে ৬ মাসের সময় দিয়ে সিমটি চালু রাখা হবে। তারপর এনআইডি কার্ড সরবরাহ না করতে পারলে সিমটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
প্রথম পর্যায়ে সকল অপারেটরদের মধ্যে সাড়ে ৮১ হাজার বায়োমেট্রিক ডিভাইস সরবরাহ করা হয়েছে। এ সব ডিভাইস দিয়ে আগামীকাল থেকে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করা হবে বলেও জানান তারানা হালিম।
খুব শীঘ্রই অপারেটরদের মধ্যে মোট এক লাখ দুই হাজার বায়োমেট্রিক ডিভাইস সরবরাহ করা হবে। এক অপারেটরদের ডিভাইস দিয়ে অন্য অপারেটরের গ্রাহকরাও সিম নিবন্ধন করতে পারবে।
এ সময় বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহ্জাহান মাহমুদসহ সকল মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে। বিটিআরসির অক্টোবরের তথ্যানুযায়ী— মানুষের হাতে থাকা মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ। আর ইন্টারনেট গ্রাহক সোয়া ৫ কোটি।