ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রত্যয়ে আওয়ামী লীগের বিজয় র্যালি
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হওয়া পর্যন্ত সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রত্যয় নিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয় র্যালি।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে বুধবার বিকেলে বিজয় র্যালিটি উদ্বোধন করেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে পৃথিবী দেখে যাও। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দণ্ড কার্যকর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন, কিভাবে পদ্মা সেতু করতে হয়। শেখ হাসিনা যা বলে তা করে দেখায়।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব- উল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু ৭৫ এ আমাদের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজাকারদের ক্ষমতায় বসিয়ে জিয়াউর রহমান দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমরা সেই রাজাকারদের বিচার শুরু করেছি। আমাদের যুদ্ধ শেষ হয় নাই এখনো। পাকিস্তানের দোসরদের বিচার শেষ করার আগ পর্যন্ত আমাদের এ সংগ্রাম চলবে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে করে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘আপনার শরীরে এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত লেগে আছে। আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে জামায়াতের সাথে হাত মিলিয়েছেন। এ জন্য খালেদা জিয়ারও বিচার করা হবে।’
র্যালি পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজ প্রমুখ।
রাজধানী ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত সংসদ সদস্য, থানা-ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, ওলামা লীগ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিজয় র্যালী সফল হোক লেখা সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে র্যালীতে যোগ দেন।
উৎসবমুখর পরিবেশে র্যালিতে যোগদানকারী নেতাকর্মীরা দুপুর ২টা থেকেই আসতে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণে। ঘোড়ার গাড়ি, পিকআপ ভ্যানে দেশাত্মবোধক গান বাজিয়ে নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন হাতে র্যালিতে যোগ দেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
রাজধানীর শাহবাগ, কাটাবন, সায়েন্সল্যাব, রাসেল স্কয়ার হয়ে ধানমন্ডি ৩২-নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে র্যালি শেষ হয়।
র্যালির সমাপ্তি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।