মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গেম ‘হিরোজ অব ৭১’ এ বিপুল সাড়া
গেমটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণ হিসেব কম্পিউটার গেমপ্রেমী আকিব হোসেন বলেন, “নতুন গেম খেলার একটা আনন্দ তো আছেই, কিন্তু তারচেয়েও বেশি যেটা- একটা অনুভূতি, একটা সংগ্রামের চেতনা। এই গেমটা খেলার পর থেকে কেমন যেন আবেগ আপ্লুত হয়ে উঠছি। আমাদের সূর্যসন্তানদের লড়াই এর চেতনা মনে করিয়ে দেয় এই গেম।”
১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা গ্রুপ ‘সামসু বাহিনী’ এর সঙ্গে মধুমতি নদীর তীরে শনির চরে পাক হানাদার বাহিনীর লড়াইকে উপজীব্য করে প্রস্তুত করা হয়েছে ‘হিরোজ অব ৭১’। শনির চর থেকে শুরু করে বরিশাল বিজয় পর্যন্ত এটি বিস্তৃত।
আকিব হোসেন বলেন, “আমরা গোলাগুলির যেসব গেম খেলি, তা সবই পাশ্চাত্য প্রেক্ষাপট, কাহিনী ভিত্তিক। আমি সবসময়ই চাইতাম এমন একটা গেম যার মূল ভিত্তি হবে আমার দেশের গৌরব, আমাদের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। আমি খুবই খুশি, যে আজ আমার সেই চাওয়া পূরণ হল।”
“এটা আসলে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার গাথা। যে কারণে আমরা তাদেরকে অবনত মস্তকে শ্রদ্ধা জানাই।”
“এতদিন পর্যন্ত আমাদের গৌরবের ইতিহাস জানতাম আমরা, এখন সময় এসেছে আমাদের দেশের এই সূর্যসন্তানদের প্রতি বিশ্ববাসীর শ্রদ্ধা প্রদর্শনের।”
গেমপ্রেমীদের আশা, অদূর ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবে এই গেমটি।