এনআইডি না থাকলে সিম সচল ৬ মাস
বুধবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কার্যালয়ে সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিটিআরসি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী বলেন, “যুক্তিসংগত কারণে এনআইডি নেই বা কোনো কারণে এখনও নিতে পারেনি তাদের সিম ৬ মাসের জন্য অ্যাকটিভ রাখা হবে। এ সময়ের মধ্যে যদি এনআইডি সংগ্রহ করতে না পারে তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
‘বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন’ বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে গত ১৩ ডিসেম্বর দেশের ৬টি মোবাইল ফোন অপারেটরকে চিঠি পাঠায় বিটিআরসি।ওই চিঠিতে বলা হয়, “বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে গ্রাহকদের সংযোগ রেজিস্ট্রেশন/ভেরিফিকেশন/রি-অ্যাক্টিভেশন/রি-রেজিস্ট্রেশন/রিপ্লেসমেন্ট/ডি-অ্যাক্টিভেশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার অপরিহার্য।
“তবে যুক্তিগ্রাহ্য কারণে কোনো গ্রাহক জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে তাকে পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/জন্ম নিবন্ধন সনদের বিপরীতে ৬ মাসের জন্য সংযোগ দেওয়া যেতে পারে, এরপর এ সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে না পারলে সেই সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
চিঠিতে বলা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এবং বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে তাদের পাসপোর্ট এবং বৈধভাবে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট-এর ওয়ার্ক পারমিট এর মাধ্যমে ভেরিফিকেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।
তবে এসব ক্ষেত্রে ওই গ্রাহকদের রিটেইলার পর্যায়ে নয়, শুধু অপারেটরদের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে কাজ সারতে হবে বলে চিঠিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কার্যালয়ে সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
গত ২১ অক্টোবর নিজের নামে একটি সিম নিবন্ধনের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
১ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রাহকরা মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে পারছেন।
ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন ছাড়া সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকসহ মোট ৬টি অপারেটর রয়েছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র হিসাবে গত অক্টোবর শেষ নাগাদ দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ছাড়িয়েছে।