সামরিক জোটে যাওয়ায় শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিজয় দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সৌদি নেতৃত্বে ৩৪ মুসলিম দেশের নতুন এই সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
এতে বলা হয়, সৌদি আরব সরকার সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্য নিয়ে গঠিত এই জোটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানোয় বাংলাদেশ তা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতি প্যারিস, ক্যালিফোফোর্নিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে, যার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক উগ্রবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
গত কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশেও দুই বিদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যা এবং তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে পুলিশ খুনের ঘটনা ঘটে, যার পেছনেও আইএস থাকার খবর আসে।
অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে আইএস এর তৎপরতার কোনো তথ্য গোয়েন্দারা পাননি।
নতুন সামরিক জোটে যোগ দিলে বাংলাদেশ আইএসের হামলার ‘টার্গেট’ হবে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গিবিরোধী অভিযান আমাদের জন্য নতুন নয়। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
“তবে অনেক দেশই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে বা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। কিন্তু আমরা পেরেছি।”
পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি প্রেস এজেন্সিতে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই জোটকে বলা হয়েছে ‘ইসলামিক মিলিটারি অ্যালায়েন্স টু ফাইট টেরোরিজম’, যার ‘যৌথ অপারেশন সেন্টার’ হবে রিয়াদে।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশ ছাড়াও বাহরাইন, বেনিন, শাদ, কোমোরোস, আইভরি কোস্ট, জিবুতি, মিশর, গ্যাবন, গায়না, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, কাতার, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, আরব আমিরাত ও ইয়েমেন থাকছে এই জোটে।