স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনে বাঁধা দেওয়ায় ইউএনও’র উপর হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র আবু সাইদ (৩৫) কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২০ জুন সোমবার দুপুরে তিনি হাইকোর্টের নির্দেশনায় স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা জানালে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি জেলা শহরসহ শ্রীবরদীতে টক অব দি টাউন হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মার্চ শ্রীবরদী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ দলীয় পৌর মেয়র আবু সাইদ আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করায় স্থানীয় মামদামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে তাকে বাঁধা দেন ইউএনও হাবিবা শারমীন। এতে মেয়র সাইদ চটে গিয়ে ইউএনওর সাথে রূঢ় আচরণ করেন এবং তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। একই দিন সন্ধ্যার পর স্থানীয় কাকিলাকুড়া এলাকায় হামলার শিকার হন ইউএনও। ওইসময় তার সরকারি গাড়িটিও ভাংচুর করা হয়। ঘটনাটি তিনি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে জেলা প্রশাসন তা নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর মেয়র সাইদকে সাময়িক বরখাস্ত করে এবং ১৬ এপ্রিল ইউএনও হাবিবা শারমীন বাদী হয়ে মেয়র আবু সাইদসহ অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মেয়র সাইদ হাইকোর্টে রিট করলে তার সাময়িক বহিস্কারাদেশ স্থগিত হয়ে যায় এবং ১২ জুন হাইকোর্টে হাজির হয়ে অর্ন্তবর্তী জামিনের প্রার্থনা করলে ২০ জুনের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে আদালতের হাজতখানা থেকে মেয়র সাইদ তার বিরুদ্ধে ইউএনওর আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় তাঁকে জড়ানো হয়েছে। তিনি ৩১ মার্চ কাকিলাকুড়া ইউনিয়নে যাননি। এছাড়া ওইদিনের ঘটনায় দায়ের করা প্রথম মামলায় তাকে আসামীও করা হয়নি।