যশোর কারাগারে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার মেম্বার হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
যশোর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন রাত ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের মৃত মুরাদ আলীর ছেলে আব্দুল মকিম (৬০) ও একই গ্রামের মৃত আকছেদ আলীর ছেলে ঝড়ু (৬২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত রবকুল মন্ডলের মেজো ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেনকে ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন গ্রামের বাদল সর্দ্দারের বাড়িতে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কতিপয় চরমপন্থী কুপিয়ে হত্যা করে।
ওইদিনই নিহতের ভাই মুক্তিযোদ্ধা অহিম উদ্দীন বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ২১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল এ হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়। রায়ে ৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুর্লভপুরের মৃত কুদরত আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম ও একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে হিয়াসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। বাকি ১৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
মামলার রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিলসূত্রে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত এক আসামি ও যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ২ আসামি আমিরুল ইসলাম ও হিয়ার দণ্ডাদেশ মওকুফ করা হয়। মোকিম ও গোলাম রসুলের ফাঁসির আদেশ বহাল থাকে।
বৃহস্পতিবার রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়।
এদিকে, ফাঁসি কার্যকরের পরপরই প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে স্বজনদের হাতে লাশ তুলে দিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।