তারেকের জন্মদিনে কেক কাটলেন খালেদা
বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিনে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কেক কেটেছেন বেগম খালেদা জিয়া। রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিটে কেক কাটা হয়। এ সময় দলের নেতাকর্মীরা করতালি ও ‘হ্যাপি বার্থ ডে’শ্লোগান দিয়ে তারেকের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
খালেদা জিয়া একে একে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের মোট সাতটি কেক কাটেন। কেক কাটার পর টেলিফোনে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে মহাসচিবসহ দলের নেতৃবৃন্দ তারেক রহমানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
কার্যালয়ের ভেতরে যখন কেক কাটা হয় তখন বাইরে অসংখ্য নেতাকর্মী হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। কার্যালয়ের ভেতরে নেতৃবৃন্দ অবস্থান নিলেও নেতাকর্মীদের কেক কাটার মূল অনুষ্ঠান বাইরে বড় পর্দায় দেখানো হয়। পরে তারেকের আশু আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। কেকগুলো পরে সাতটি এতিমখানায় পাঠানো হয়।
জানা গেছে, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি, মহানগর দক্ষিণ, মহানগর উত্তর, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ছাত্রদলের আলাদা আলাদা ছয়টি বড় আকারের কেক টেবিলে রাখা হয়। রাত ১২টায় ১ মিনিটে একে একে কেকগুলো কাটেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিএনপির পক্ষ থেকে কেক কাটেন খালেদা জিয়া। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতৃ্বৃন্দ হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে পরের কেকগুলো কাটেন।
এ সময় অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক সদরুল আমিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ছিলেন। দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ছিলেন আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন কাদের চোধুরী শওকত মাহমুদ, জয়নাল আবেদীন, আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহানগর দক্ষিণের হাবিব উন নবী খান সোহেল, কাজী আবুল বাশার, উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আহসানউল্লাহ হাসান, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, ছাত্র দলের রাজিব আহসান, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর তারেক রহমানের জন্ম। ২০০৭ সালে মার্চ মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় যৌথবাহিনী তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে যান। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে লন্ডনের সাউথ ওয়েলিংটন হসপিটালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। অর্থপাচারের দায়ে করা একটি মামলায় বিএনপির এই নেতার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।
তারেকের জন্মদিনে বিএনপির দুইদিনের কর্মসূচি
তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপনে বিএনপি দুই দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে আছে- সোমবার সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে তারেকের আশু আরোগ্য ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল। শনিবার বিকালে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা।
এছাড়া ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সোমবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করবে।
সারাদেশে মহানগর-জেলা-থানা-ইউনিয়ন পর্যায়েও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো তারেকের জন্মদিন পালনে কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জানানো হয়।