সাতক্ষীরায় আ.লীগ নেতাকে গলাকেটে হত্যা
মোবাইল করে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কৈখালি গ্রামে হাওড়া নদীর বেড়িবাঁধের উপর এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ছলেমান গাজী। তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ঝায়ামারি গ্রামের মোকছেদ গাজীর ছেলে।
নিহতের স্ত্রী আয়েশা খাতুন জানান, তার স্বামী ছলেমান গাজী আশাশুনি উপজেলার বসুখালির বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯৮ সালে কালিগঞ্জের বাবুরাবাদে ভূমিহীন আন্দোলনের সময় থেকে তিনি ঝায়ামারিতে বসবাস শুরু করেন। তিনি কালিগঞ্জের নলতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
নিহতের স্ত্রী জানান, কয়েক বছর আগে দেবহাটা উপজেলার দেবীশহর সোসাইটির ঝায়ামারির বিলের ১০৭ বিঘা জমি মনোরঞ্জন মুখার্জীর কাছ থেকে কেনেন তার স্বামী ছলেমান, বসুখালির অমেদ আলী, আব্দুর রশীদ, ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন। এ নিয়ে ঝায়ামারি এলাকার ওহাব আলী পেয়াদারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল।
দুই বছর আগে দেওয়ানি মামলায় হেরে যাওয়ার পর থেকে ওহাব আলী তার স্বামীকে সহ্য করতে পারতো না। তাকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয় কয়েকবার। বিরোধের জের ধরেই ছলেমানকে হত্যা করা হতে পারে বলে জানান আয়েশা।
ঝায়ামারি গ্রামের আব্দুর রশীদ জানান, গতকাল রাত আটটার দিকে ছলেমান ও তনিসহ কয়েকজন শোভনালী বাজারে সাহেব আলীর দোকানে ক্যারাম বোর্ড খেলছিল। এ সময় মোবাইলে কল আসায় তড়িঘড়ি করে সে বাড়ির দিকে রওনা হয়। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ছলেমানকে পাওয়া যায়নি।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সোমবার ভোরে কৈখালি পারি ট্যাঙ্কি থেকে ১০০ হাত দূরে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীদুল ইসলাম শাহীন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। হত্যার মোটিভ জানার চেষ্টা চলছে।