ধর্ষিত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর সন্তান প্রসব, গ্রেপ্তার ১
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত চার মাস আগে ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে নিজেই এসে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছিলেন।
এ অবস্থায় রবিবার দুপুরে অন্তঃস্বত্ত্বা ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর প্রসব ব্যথা ওঠে। এরপর সেখানে ফুটফুটে এক ছেলের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু অসহায় ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর শিশুটি কি শেষ পর্যন্ত তার বাবার পরিচয় পাবে? এমন প্রশ্ন এখন জেলার হালুয়াঘাটজুড়ে।
হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগের নার্স জেসমিন মান্দা জানান, আমার তত্ত্বাবধানে জন্ম নেয়া শিশুটি এখন সুস্থ আছে।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম এ কাদের জানান, প্রতিবন্ধী এই কিশোরীর পাশে এখনও তার কোন আত্বীয়-স্বজন নেই। হাসপাতালের ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানেই চার মাস চিকিৎসাধীন রাখার পর অস্ত্রোপচার ছাড়াই সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে তার সন্তান প্রসব হয়েছে।
জানা গেছে, ধর্ষিত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর বাড়ি হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামে। তাকে কে বা কারা ধর্ষণ করলে এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ধর্ষিত হওয়ার ৩১ সপ্তাহে ঘটনার প্রকাশ ঘটে।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ৯ অক্টোবর ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে পৌর এলাকার মনিকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাইয়ের পুত্র শফিকুল ইসলাম বাপ্পুকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর বাপ্পুকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন আছে।