বিসিসিআইয়ের ওপর চটেছেন কোহলি
মাঠে বরাবরই আগ্রাসী বিরাট কোহলি। ব্যাট হাতে ছেড়ে কথা বলেন না বোলারদের। কম যান না স্লেজিংয়েও! অধিনায়ক হিসেবেও কম কিসে? গুলির বেগে মুখ চালান সংবাদ সম্মেলনে। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সেটা আরেকবার প্রমাণ করলেন। এদিন একহাত নিলেন ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকে। সিরিজের সময়সূচি নির্ধারণ নিয়ে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) ওপর অনেকটা ক্ষুব্ধ কোহলি। কোনো রাখঢাক না করে সেটা নিজের মুখেই প্রকাশ করেছেন ভারতের অধিনায়ক।
শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষ হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বিরাট কোহলির দল। ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে যথেষ্ট সময় পাচ্ছে না কোহলিরা। চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজকেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রস্তুতি হিসেবে নিচ্ছে ভারত। ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের উইকেটও বানানো হয়েছিল সেভাবে।
কিন্তু বৃষ্টিভেজা কন্ডিশনে উল্টো বিপদে পড়ে গিয়েছিল স্বাগতিক ভারত। কোহলির নির্দেশেই ইডেন টেস্টের উইকেট এমন বানানো হয়েছিল। তারপরও বিসিসিআইয়ের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে কোহলি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি এমনটাই চেয়েছিলাম। দুঃখজনকভাবে এই সিরিজটি শেষ হওয়ার পর দুই দিনের মধ্যে আমাদের দক্ষিণ আফ্রিকা রওনা হতে হবে। এক মাস সময় পাওয়া গেলে হয়তো আমরা ক্যাম্প করতাম সেখানে। সামনে আমাদের জন্য যা অপেক্ষা করছে, তার জন্য এভাবে প্রস্তুত হওয়া ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই।’
দক্ষিণ আফ্রিকার ম্মাটিতে এখন পর্যন্ত সিরিজ জিততে পারেনি ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জেতার জন্য এবারই ভারতের সামনে সবচেয়ে সেরা সুযোগ। কিন্তু এই সিরিজের আগেই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য খুব একটা সময় পাচ্ছে না বিরাট কোহলির দল। এখানেই কোহলির আপত্তি! এ নিয়েই ক্ষুব্ধ তিনি।
কোহলি বলেন, ‘আবারও সময়ের অভাবে ভুগতে হতে হচ্ছে। এই ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ, কোনো সফরে গেলে খুব সহজে একটি দলের সমালোচনা করা হয়। প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কদিন সময় পেল, সেটা দেখা হয় না। টেস্ট শেষ হতে সমালোচনা শুরু। এ নিয়ে বোর্ডের কোনো মাথব্যথা নেই।’