বিএনপির নির্বাচনে আসা ছাড়া উপায় নেই: তোফায়েল
মাঝে নমনীয় থাকলেও ইদানীং বিএনপি নেতারা আবারও নির্দলীয় সরকার ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বলছেন। তবে আওয়ামী লীগ নেতা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেছেন, নেতারা যাই বলুন না কেন, বিএনপির নির্বাচনে আসা ছাড়া উপায় নেই।
শুক্রবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা ভোলার লালমোহনে আব্দুল হান্নান হাওলাদার শিক্ষাবৃত্তি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তোফায়েল।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা যতই কথা বলুক না কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া তাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই। আর বর্তমান সরকারের অধীনেই বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে। তারা না আসলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।’
২০১৪ সালের নির্বাচন বানচালের আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের ক্ষমতা বিএনপির নেই। যারা নির্বাচন ঠেকানোর স্বপ্ন দেখেন তাদের সেই স্বপ্ন কোন দিন পূরণ হবে না।’
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির বিষয়ে তোফায়েল বলেন, ‘বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলছে দেশে গণ অভ্যুত্থান করে টেনে হিঁচড়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবে। যদি সাহস থাকে তাহলে সে চেষ্টা আপনারা করুন। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে জেলে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে ভোট না দিতে লালমোহন-তজুমদ্দীনবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য বলেন, ‘বিএনপি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছে, একটি সন্ত্রাসী দল কখনই ভোট চাইতে পারে না।’
ভোলার উন্নয়নের বর্তমান সরকারের নেয়া পদক্ষেপেরও বর্ণনা দেন তোফায়েল। বলেন, নদী ভাঙন রোধে এখানে এক হাজার আটশ কোটি টাকা এবং গ্রামীর অবকাঠামো উন্নয়নে ৪৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই উন্নয়ন হয়, কিন্তু বিগত দিকে যিনি পানিসম্পদমন্ত্রী ছিলেন (বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদ) তিনি নদী ভাঙন রোধে কেন কাজই করেননি। উন্নয়নের নামে সব লুটপাট করেছেন।
অনুষ্ঠানে অদূর ভবিষ্যতে ভোলায় গ্যাসনির্ভর একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলারও ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। পরে তিনি ১৫২ শিক্ষার্থীদের হাতে নগদ অর্থ, মেডেল ও সনদ তুলে দেন।
ভোলা সমিতির সভাপতি মাকসুদ হেলালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মুকুল, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল।
জেলা প্রশাসক সেলিম উদ্দিন, শিল্পপতি আবু নোমান হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, এনামুল হক আরজুসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।