আ.লীগ সরকার ব্যর্থ: বি চৌধুরী
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে চরম ব্যর্থ সরকার বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এ রকম ব্যর্থ সরকার বাংলাদেশে আর কোনো দিন আসে নাই। এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বি চৌধুরী। বাংলাদেশ জনদলের (বিজেডি) প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় এসে যেসব ওয়াদা দিয়েছিল তার একটিও পূরণ করতে পারেনি। প্রশ্ন ফাঁস, দুর্নীতি, মাদক, গুম-খুন, পররাষ্ট্র নীতিসহ রোহিঙ্গা ইস্যুতেও সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। পররাষ্ট্র নীতিতে এ সরসকার চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে। চীন, ভারত, রাশিয়া এখন পর্যন্ত বাংলাদেশর পক্ষে রোহিঙ্গা নিয়ে কথা বলে নাই।’
বিকল্পধারার চেয়ারম্যান বলেন, ‘যে সরকার প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পারে না তারা দুর্নীতি ঠেকাবে কীভাবে? প্রশ্ন ফাঁসের ফলাফল ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ হবে। জাতিগতভাবে দুর্নীতি প্রবণতা তৈরি করবে। দুর্নীতি হচ্ছে, দুর্নীতি রুখতে কিছুই করতে পারে নাই এই সরকার। এখানেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।’
গুম-খুন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বি. চৌধুরী বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য দেশে গুম হয়, খুন হয় মানছি। কিন্তু পার্থক্য হলো, সেসব দেশে খুনি ধরা পড়ে, গুম হলেও উদ্ধার হয়, ফিরে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে খুন হলে খুনি থাকে অধরা, বিচার হয় না। আর গুম হলে তো কথাই নেই। ফেরে না অথবা লাশ পাওয়া যায়। কেউ ফিরলেও আর কথা বলে না।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এখানে জীবনের কোনো গ্যারান্টি নেই। বেঁচে থাকবার পরিবেশ নাই। পৃথিবীর উন্নত দেশে গুম হয়- এমন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী গুমের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন।’
মান্না বলেন, এ সরকার দূরদর্শী সরকার, ভিশনারি সরকার। তারা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ভিশন নিয়েছে। কিন্তু বাড়ছে বিদ্যুতের দাম, দ্রব্যমূল্যের দাম। আর বাস্তবায়িত হচ্ছে বড় বড় সব প্রকল্প। এসব প্রকল্পে অন্যান্য দেশের তুলনায় দশ গুণ বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এ অর্থ যায় কোথায়?
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে। ফ্লাইওভারে ট্রাফিক পুলিশ, যা দেখে নিজেরাই বেকুব হয়েছি। বাইরেরে দেশে ফ্লাইওভার করতে যা খরচ হয় তার থেকে চার থেকে পাঁচ গুণ খরচ বেশি হচ্ছে। যা লুটপাট করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জনদলের চেয়ারম্যান ডা. এস এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ।