নির্বাচনে এলে বিএনপির এই দশা হতো না: কাদের
বিএনপির এখন খাদের কিনারায় আছে দাবি করে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত সংসদ নির্বাচন বর্জন না করলে বিএনপির এই দশা হতো না।
সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিলনায়তনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর গুলিতে নিহত হন চিকিৎসক মিলন। এই ঘটনাটি এরশাদবিরোধী আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তুলে এবং ১০ দিনের মধ্যে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। এই শোকাবহ ঘটনার স্মরণে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর শহীদ ডা. মিলন দিবস পালিত হয়ে আসছে।
এই আলোচনায় মিলনের স্মৃতিচারণ করার পাশাপাশি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন কাদের। সরকার গণতন্ত্র হরণ করেছে বলে বিএনপির অভিযোগেরও জবাব দেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি আজ বলে, গণতন্ত্র খাদে পড়েছে। আসলে মূল কথা হচ্ছে আজ বিএনপির রাজনীতিই খাদের কিনারায়। তারা (বিএনপি) আন্দোলনের নামে অতীতে পেট্রোলবোমা, ককটেল, আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে।’
‘বিএনপি যদি গত সংসদ নির্বাচনে আসত তাহলে তাদের আজ এই অবস্থা হতো না।’
বিএনপি বর্জন করার পরও গতবার নির্বাচন হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, এবারও তারা নির্বাচনে না আসলে ভোট হবে।
‘কেউ যদি নির্বাচনে না আসে তবে সে দোষ কার? সেই দায়ভার কার? নির্বাচনের ট্রেন তো আর কারো জন্য থেমে থাকে না। তারা সেই ট্রেন মিস করেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে আগুন সন্ত্রাস করে গণতন্ত্র রক্ষার নামে বিএনপি যে আন্দোলন করেছিল, তা জনগণ মেনে নেয়নি। এ কারণেই তারা পরবর্তীতে কোন আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। আর এই নৈরাশ্য থেকেই আজ দলটির নেতা-কর্মীরা দিশেহারা।’
বিএনপির ‘অপকর্মের’ জন্য মানুষ তাদেরকে কখনও ক্ষমা করবে না মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘পুড়িয়ে মানুষ হত্যার চেয়ে জঘন্য আর কী হতে পারে? জনগণ কি সেই দুঃসহ যন্ত্রণাময় অতীত ভুলে গেছে?’।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো অগণতান্ত্রিক কথা বলে না, অগণতান্ত্রিক আচরণও করে না। বরং বিএনপি সব দিক থেকে এখন ব্যর্থ হয়ে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলছে। তারা হাতুরি পিটিয়ে নিজেদের ঢোল বাজানোর চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপু মনি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।