লক্ষ্মীপুরে এজেন্ট ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, টাকা লুট
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় হামলা চালিয়ে টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। দালাল বাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সুমন হোসেন বাদশার নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আহতরা। যদিও ওই যুবলীগ নেতা হামলার কথা অস্বীকার করেছেন।
সোমবার দুপুরে স্থানীয় রাখালিয়া বেঙ্গল সু ফ্যাক্টরির সামনে রিহাব টেলিকমের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় এই হামলা হয়। দুর্বৃত্তরা এ সময় ব্যাংকের ডিলার ওসমানকে কুপিয়ে জখম এবং আরও দুই জনকে পিটিয়ে আহত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
যেখানে ব্যাংকের শাখা নেই ওইসব এলাকার ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে চালু হয় এজেন্ট ব্যাংকিং। রায়পুরে এই শাখা চালু করেছিলেন ওসমান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, যুবলীগ নেতা বাদশার নেতৃত্বে দুটি মাইক্রোবাস ও ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেলে করে ৫০ থেকে ৬০ জন সন্ত্রাসী এই হামলা চালায়। এ সময় ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকি শাখার ডিলার ওসমান দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কয়েকজন যুবক তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে।
একই সময় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল ব্যাংকিং এজেন্ট শাখায় প্রবেশ করে ক্যাশিয়ার লাভলীকে ভয় দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা ও রিহাব টেলিকমের কর্মচারী নাজিম ও রিপনকে মারধর করে ২৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওসমান গনি বলেন, যুবলীগ নেতা বাদশা একটি মোবাইল মিম কার্ডের জন্য রিহাব টেলিকমে (ওসমানের দোকান) আসলে কাগজপত্র ছাড়া সি দেয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়। এতে সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালান তিনি।
তবে যুবলীগ নেতা সুমন হোসেন বাদশা হামলা ও টাকা লুটের অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকাটাইমসকে বলেছেন, যুবলীগ করার কারণে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একে এম আজিজুর রহমান মিয়া কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে বাদশার নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী এ হামলা করেছে বলে স্বীকার করে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।