ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী : শ্রীবরদীতে চাকরীর টাকা ফেরত নিতে এসে যুবক আহত
স্টাফ রির্পোটার:
ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীতে অন্তর্ভূক্তির জন্য টাকা দিয়েও অন্তর্ভূক্তি হতে না পারায় সেই টাকা ফেরত নিতে এসে রক্তাক্ত হতে হলো এক বেকারকে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডের যুব উন্নয়ন অফিসারের কার্যালয়ের সামনে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় ইস্রাফিল (২৬) নামে ওই বেকারকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও পরে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎস্যক শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জানা গেছে, উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পুটল গ্রামের ইস্রাফিলের স্ত্রীকে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীতে চাকরী দেয়ার কথা বলে উপজেলা ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) উদ্দ্যোক্তা রেজুয়ান আহমেদ ওরফে বাবু তার বাবার মাধ্যমে ইস্রাফিলের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় ওক্ত প্রার্থীর নাম না থাকায় রবিবার দুপুরে ইস্রাফিল তার ভাই নূর ইসলামকে সাথে নিয়ে রেজুয়ান আহমেদ ওরফে বাবুর কাছে টাকা ফেরত নিতে আসে। উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসারের কার্যালয়ের সামনে আলোচনার এক পর্যায়ে রেজুয়ান আহমেদ ওরফে বাবু টাকা দিতে অস্বীকৃত জানায় এবং ইট দিয়ে আঘাত করে। এতে ইস্রাফিলের মাথা ফেটে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে ইস্রাফিল কে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ইস্রাফিলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত ইস্রাফিল খবর বাংলা প্রতিনিধিকে জানায়, সে একজন বেকার। তার স্ত্রীও বৈধপ্রার্থী হিসাবে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীতে আবেদন করে। কিন্তু টাকা ছাড়া কাজ হবে না বলে রেজুয়ান আহমেদ ওরফে বাবু তার বাবার মাধ্যমে ভাই নূর ইসলামের হাত থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। প্রাথমিক ফলাফলে তার স্ত্রীর সিরিয়াল ছিল ৩৭। এরপর চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকার জন্য আরো ৫ হাজার টাকা দাবি করে রেজুয়ান আহমেদ ওরফে বাবু। সে টাকা না দেয়ায় আমার স্ত্রী ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীতে অন্তর্ভূক্ত হতে পারেনি। ন্যাশনাল সার্ভিসের প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। চাকরী না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে রেজুয়ান আহমেদ ওরফে বাবু টাকা দিতে অস্বীকৃত জানায় এবং আমাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাসকিন আহম্মেদ জানান, তার মাথার আঘাত গুরুত্বর। রোগীর বমিও হয়েছে। আমাদের এখানে সিটিস্ক্যান নেই। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মো. হামিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমি জানি না।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধর জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত নয়। আর ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সরাসরি অফিস স্টাফ না। বিষয়টি আমি দেখতেছি।