নালিতাবাড়ীতে সাংবাদিককে মারধর করায় এক যুবক কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় দৈনিক খবরপত্র উপজেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসানকে অর্তকিত ভাবে মারধর করার মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার শেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেটের আদালতে অপরাধি উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে অপরাধিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই যুবকের নাম মো.আজিজুর রহমান (৪৫)। সে উপজেলার কাপাসিয়া গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে।
পুলিশ ও আহত সাংবাদিক সূত্রে জানা গেছে,গত শুক্রবার দুপুরে মঞ্জুরুল আহসান পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে উপজেলার কাপাসিয়া গ্রামে যান। অর্তকিত ভাবে আজিজুর রহমান কিছু না বলেই সাংবাদিকের ওপর হামলা করে কিলঘুসি মারতে থাকে। এসময় সাংবাদিকের ব্যবহৃত ক্যামেরা,মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এলাকাবাসি সেখান থেকে সাংবাদিককে উদ্ধার করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করা হয়। সাংবাদিকের মাথায় এবং কানের ওপর আঘাত করায় শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। এ ব্যাপারে গত শুক্রবার রাতে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করা হয়। এর পর থেকে আজিজুর রহমান পলাতক ছিলেন। এই ঘটনায় নালিতাবাড়ী উপজেলা ও শেরপুর জেলার সাংবাদিক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অপরাধিকে ধরতে পুলিশ একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নালিতাবাড়ী আমলি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শেরপুর জ্যোষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট হুমায়ুন কবির তালুকদার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বলেন,কোন কিছু বুঝার আগেই আজিজুর আমাকে আঘাত করেন। মাথায় এবং কানের ওপর কিলঘুসি মারায় বাম কানে ঠিকমত শুনতে পারি না। মাথায় আঘাত পাওয়ায় চিকিৎসক সিটিস্ক্যান করতে বলেছেন। এ ব্যাপারে মামলা করেছি। আমি চাই অপরাধির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক।
স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ হাকাম হীরা বলেন,সাংবাদিকের কোন অপরাধ থাকলে তিনি আমাদেরকে জানাতে পারতেন। কিন্ত কোন কিছু না বলে অর্তকিত ভাবে মারধর করা কোন ভাবেই ঠিক হয়নি। তাই আমরা সকল সাংবাদিকের সিদ্ধান্তে আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছি।
শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার বলেন,আমরা চাই অপরাধিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি দাবী জানাই।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) একেএম ফসিহুর রহমান বলেন,মামলার পর থেকে অপরাধিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিলো। আজ বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে অপরাধির বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।