শ্রীবরদীতে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এডিএম শহীদুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় সরগরম হয়ে ওঠেছে নির্বাচনী মাঠ। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় গণসংযোগ ও দলের নেতাকর্মীদের সাথে লবিং করছেন খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম। তিনি সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি দলের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ছিলেন। রোববার গণসংযোগ শেষে খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদে সাংবাদিকদের সাক্ষাতে ওঠে আসে তার মনোনয়ন প্রত্যাশার কারণ ও শৈশব থেকে বর্তমান জীবনের কিছু ঘটনা। তার বাবার নাম মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম। মা নুরেজা বেগম। গ্রাম মাদারপুর। তিনি মামদামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী, কুরুয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, শ্রীবরদী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে অর্নাস পাশ করেন।
ছাত্রলীগ থেকেই রাজনীতি শুরু করে বর্তমানে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের একজন অন্যতম সদস্য। তিনি কুরুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পরে শ্রীবরদী সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। এরপর তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। তিনি ২০০৩ সালে খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। পরে মনোনয়ন না পাওয়ায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন নিয়ে পুনরায় ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এবার তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারণা চালিয়ে নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেন। তাকে নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন ওঠলেও মনোনয়ন বঞ্চিত হন তিনি। তবে এবারো তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় নেমেছেন মাঠে ময়দানে। চালাচ্ছেন গণসংযোগ ও লবিং।
তিনি বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি নির্মূল করবো। এমনকি সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে যাবো। এছাড়াও তিনি সাংবাদিকদের জন্যে সরকারি জায়গায় প্রেসক্লাব করার প্রতিশ্রুতি দেন।