শ্রীবরদীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদীর সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে বরাদ্দকৃত বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার বাবেলাকোনা ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন অফিসের মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে টিডব্লিওএ’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে দেন ও প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর। তিনি বলেন, খুব শিগগির বাবেলাকোনা ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন মাঠে নির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকটি চালু হবে। এই ক্লিনিক থেকেই সীমান্ত এলাকার লোকজন স্বাস্থ্য সেবা পাবে। এছাড়াও যোগাযোগের জন্য মেঘাদল হতে হারিয়াকোনা সড়কটি ৫ কিলোমিটার পাকা করণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। পাহাড়ি নদীতে ভাঙন কবলিত সড়কের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এখানকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষের উন্নয়নে অনেকটা সহায়ক হবে। পরে তিনি চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে শ্রীবরদী উপজেলার সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের জন্য বরাদ্দকৃত ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রকল্পের উদ্ধোধন ঘোষণা করেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা। তিনি বক্তব্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের নানা দিক তুলে ধরে বলেন, গত অর্থ বছরে ভাল কাজ করায় এবার আমরা সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছি। এবার যদি আমরা আরো ভাল কাজ করতে পারি তাহলে আগামিতে আরো বেশি বরাদ্দ পাবো। এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
হারিয়াকোনা মিশনারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিপুন ¤্রংয়ের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র মান্দা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুজ্জামান কালু, বকশিগঞ্জ উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হোসিও ¤্রং, বীরেণ চন্দ্র বর্মন, কারিতাস কর্মকর্তা বিনয় চিসিম, কারিতাসের জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সুরঞ্জন ডিব্রা, সত্যরঞ্জন মৃ, এলিও মৃ, আশীষ চিসিম ও বিহার জাম্বিল প্রমূখ।
পরে ৮শ ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয়। এছাড়াও ৫ জনকে চিকিৎসা খরচ, ২০ জনকে একটি করে সোলার, ১০ জনকে একটি করে ল্যাট্রিন, ১০ জনকে একটি করে গভীর নলকুপ, ৫০ জনকে একটি করে সার্চলাইট, ৫০ জনকে একটি করে ম্যাগাফোনসহ আরো প্রায় ১শ জনের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করা হয়। সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি, রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।