শ্রীবরদীতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
স্টাফ রিপোর্টার:
শ্রীবরদীতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্য্য পরিবেশের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি ভবন এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনির্মিত, শোকের প্রতীক কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।
এ উপলক্ষে ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৯.৫৫টায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের হয়। র্যালী শেষে পৌর শহরের শাহ মোতাসিম বিল্লাহ বীর বিক্রম অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন ও কীর্তির উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল হক চান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুর আহসান, পৌর মেয়র আবু সাঈদ, উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ ছালেহ প্রমূখ।
র্যালী ও আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন, ওসি (তদন্ত) বন্দে আলী, জেলা পরষিদ সদস্য আব্দুল্লাহ হেল আল আমিন, আ’লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী লাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আকন্দ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন, সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রোপন সহ উপজেলার সকল দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভা শেষে শোক দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগের সৌজন্যে পৃথক শোক র্যালীসহ, যুবলীগ এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৃথক পৃথকভাবে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
পরে সুবিধাজনক সময়ে উপজেলার সকল মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যবৃন্দের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করা হয়।