শ্রীবরদীতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ
স্টাফ রিপোর্টার:
শ্রীবরদীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল লামিয়া (১৪) নামে এক অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের হালাগড়া গ্রামে লামিয়ার বিবাহের আয়োজন চলছিল। লামিয়া ওই এলাকার লাল মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়ার বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মেয়ের বাবা-মা’কে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে অবগত করে ওই শিক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধ করে দেন। এসময় তার সাথে ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মন্জুর আহসান, উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর একেএম মাসুদুর রহমান, এসআই আলমগীর হোসেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার বলেন, বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যহত হওয়া ছাড়াও বাল্য বিবাহের কারনে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বাল্য বিবাহ বন্ধে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।
অপরদিকে শুক্রবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা আক্তার সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শ্রীবরদী পৌর শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই মুদি দোকান মালিকের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এসময় ভোক্তা অধিকার আইনে পৌর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী ইমান আলী’র কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ও সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রকাশ্যে রাখার দায়ে উত্তর বাজারের ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া’র কাছ থেকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।