শ্রীবরদীতে ‘বাল্যবিবাহকে না বলি’ লাল কার্ড প্রদর্শন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচী
স্টাফ রিপোর্টার:
বাল্যবিবাহ একটি মারাত্মক ব্যাধি। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে ছেলেদের বিবাহের বয়স নূন্যতম একুশ এবং মেয়েদের বিবাহের বয়স আঠারো বছর হওয়া বাধ্যতামূলক। বাল্য বিবাহের প্রধান অন্তরায় হচ্ছে নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া ছাড়াও বাল্য বিবাহের কারনে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মা হতে গিয়ে অনেকেই মারা যাচ্ছে অন্যদিকে নবজাতকের মৃত্যুর হারও বাড়ছে। এছাড়াও বাল্য বিবাহের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের আশংকা বেড়ে যাচ্ছে। বাল্য বিবাহ নিরোধে ইতিমধ্যেই ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ।
এরই অংশ হিসেবে শেরপুরের শ্রীবরদীতে “বাল্যবিবাহকে না বলি” সম্বলিত লাল কার্ড প্রদর্শন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর মাধ্যমে বাল্য বিয়েকে না বলল ৭টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দিনব্যাপী উপজেলার ৭টি স্কুলের প্রায় ৮ শত শিক্ষার্থী লাল কার্ড প্রদর্শন করে এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তারের দিকনির্দেশনায় উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আলম তালুকদার ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মঙ্গলবার দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় শ্রীবরদী এম.এন.বি.পি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তাতিহাটি আইডিয়াল স্কুল, শ্রীবরদী আইডিয়াল পলিটেকনিক, শ্রীবরদী এপিপি আই, কাকিলাকুড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গবরীকুড়া এ.কে উচ্চ বিদ্যালয়, কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন বালিকা মাদ্রাসা’র প্রায় ৮শ শিক্ষার্থী ‘বাল্যবিবাহকে না বলি’ লাল কার্ড প্রদর্শন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে।
বাল্য বিবাহের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রাম অব্যাহত থাকবে।