শ্রীবরদীতে ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী করোনায় সংক্রমিত: আইসোলেশনে ভর্তি
তাসলিম কবির বাবু, স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদীতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত ১০ বছর শিশু রোগী সনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রোগী সনাক্ত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। রাতেই সংক্রমিত ওই রোগীকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। সে শ্রীবরদী আইডিয়াল প্রিপারেটরী এন্ড হাই স্কুলের ২য় শ্রেণি শিক্ষর্থী। ওই শিশু উপজেলার পৌর শহরের সাতানি শ্রীবরদী (শান্তিবাগ) মহল্লায় বাবা-মা’ সাথে ভাড়া বাসায় থাকতো। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই সংক্রমিত রোগীর বাড়ীর আশেপাশের ২০টি বাড়ি পরবর্তী নিদের্শনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট নিলুফা আক্তার।
জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আয়া (৫০) প্রথম করোনা রোগী চিহ্নিত হয়। এঘটনায় ওই মহিলার সংস্পর্শে আসা হাসপাতালের স্টাফ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়। ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে ওই মহিলা রোগীর নাতী’র (১০) করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বৃহস্পতিবার রাতেই উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন ওই শিশু রোগীকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করে। পরে সংক্রমিত রোগীর বাড়ির আশেপাশের ২০টি বাড়ি লকডাউনের খবর নিশ্চিত করে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মন্জুর আহসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন, শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার প্রমুখ। রাতেই ওই এলাকায় লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উক্ত এলাকায় প্রথম রোগী সনাক্তের পর ওই রোগীর বাড়ির আশেপাশের পূর্বের লকডাউনকৃত ২০টি বাড়ি পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত যথারীতি বন্ধ থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার বলেন, করোনা রোগী সনাক্ত হওয়া ওই শিশুর বাবা-মা’কে বুঝিয়ে সংক্রমিত শিশুকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রোগীর বসবাসরত আশাপাশের আরো ২০টি বাড়ি লকডাউনের আওতাভূক্ত থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে। তিনি আরো বলেন, লডাউনকৃত এলাকায় বসবাসরত বিভিন্ন পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।