শ্রীবরদীতে তাতিহাটি জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী পেল ২৬৪ হতদরিদ্র পরিবার
তাসলিম কবির বাবু, স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে সারাদেশ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষগুলো। সরকারি ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি অনেকেই ব্যাক্তিগত ও সংগঠনের উদ্যোগে অসহায় কর্মহীন পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে। এলাকার সাধারন মানুষদের সহযোগিতার কথা ভেবে শ্রীবরদী পৌরসভার কাউন্সিলর আনিসুজ্জামান খোকন কয়েকজন তরুণ সদস্য নিয়ে তাতিহাটি জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেন। সংগঠনটি হাঁটি হাঁটি পাঁ পাঁ করে প্রায় ৩ বছর অতিবাহিত করেছে। ইতিমধ্যেই ওই সংগঠনটি এলাকার বিভিন্ন দ্ররিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি অসহায়-গরীবদের সহযোগিতা করে আসছে। প্রতিবছরই হতদরিদ্র শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড করে চলছে। এবারো ব্যাতিক্রম হয়নি। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন, হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতিহাটি জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেরপুরের শ্রীবরদী পৌর শহরে তাতিহাটি জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুঃস্থ, অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। তাতিহাটি জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে পৌরসভার ৩ নং ও ২ নং ওয়ার্ডের ২ শ ৬৪ জন কর্মহীন, হতদরিদ্রের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট (চাল, ডাল, পিয়াজ, আলু, লবণ ও সাবান) বিতরণ করেন ফাউন্ডেশনের সদস্যবৃন্দ। তাদের এ মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মন্জুর আহসান, পৌর মেয়র আবু সাইদ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।
তাতিহাটি জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শ্রীবরদী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুজ্জামান খোকন বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো থমকে গেছে বাংলাদেশ। থেমে গেছে জনজীবন। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অসংখ্যা মানুষ। ফলে দুুঃস্থ, দরিদ্র, অসহায় ও কর্মহীন ওইসব মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। মানুষের কল্যাণে আমাদের এই সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ও বিভিন্ন সংগঠন এগিয়ে আসলে, করোনার প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র মানুষগুলো বেশি বেশি খাদ্য সহায়তা পাবে। তিনি আরো বলেন, করোনা বিস্তার রোধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। সবাই পরিবার নিয়ে ঘরে থাকুন। ঘরে থাকলেই, নিরাপদ থাকবেন।