শ্রীবরদীতে অসহায় কৃষকের পাশে ছাত্রলীগ
স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ন্যায় শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। ফলে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঘরে থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে কৃষক-দিনমজুর ও বিভিন্ন শ্রমজীবি মানুষ। অপরদিকে কৃষকের রোপনকৃত বোরো ধান ইতিমধ্যেই পাকতে শুরু করেছে। লকডাউন থাকায় শ্রমিকরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা চলাচল করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনায় ও শ্রীবরদী উপজেলা প্রশাসনের আহবানে অসহায় কৃষকের ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে মাঠে নেমেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। তারই ধারাবাহিকতায় শ্রীবরদী উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক এডভোকেট মেরাজ উদ্দীন চৌধুরী ও যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউল হক জেনারেলের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এক অসহায় কৃষকের ৩০ শতাংক জমির বোরো ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী উপজেলার গোশাইপুর ইউনিয়নের দরিদ্র বর্গাচাষী জয়নাল আবেদীনের উৎপাদিত ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক এডভোকেট মেরাজ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, লকডাউন থাকায় কৃষক জয়নাল আবেদীন উৎপাদিত বোরো ধান পাকার পরও শ্রমিকের অভাবে ধান কেটে বাড়িতে আনতে পারছে না। পরে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিই। শ্রমিক সংকট থাকায় কৃষকদের সহযোগিতায় আমাদের এ ধানকাটা কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। এসময় ধান কাটা ও পৌঁছানোর কাজে সহযোগিতা করেন, ছাত্রলীগ নেতা হাসান রুমান, মনির, আকরাম, শুভ, জিহাদ, মজিদ, শাকিল, শায়ান, হৃদয়, ফারুক, কামাল প্রমুখ।
কৃষক জয়নাল আবেদনি বলেন, আমি ক্ষেতের পাকা ধান কেটে ঘরে উঠানো নিয়ে খুব দু:চিন্তায় ছিলাম। করোনার কারনে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিল না। উপজেলা প্রশাসনের আহবানে সাড়া দিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ক্ষেতের ধান কেটে দিয়েছে। দূর্যোগকালীন সময়ে এমন সহায়তার হাত বাড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, ভলোবাসা ও দোয়া করেন অসহায় কৃষক জয়নাল আবেদীন।
ছাত্রলীগের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে শ্রীবরদী উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।