শ্রীবরদীতে অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিল পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা ভাইরাসে বিস্তার রোধে দেশের বিভিন্ন এলাকার ন্যায় শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। এতে করে শ্রমিক সংকট পড়েছে কৃষকরা। অপরদিকে বোর ধান পেকে গেছে। কিন্তু শ্রমিক না পাওয়ায় পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকরা। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শনিবার দুপুরে শেরপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, পিপিএম’র উপস্থিতিতে শ্রীবরদীতে অসহায় বর্গাচাষী মোজাম্মেল হকের ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছে পুলিশ। “আমরা আছি কৃষকের পাশে, মানবিক পুলিশের চোখে জনতার আকাঙ্খা লেখা থাকে”- এ স্লোগানকে ধারন করে শ্রীবরদী থানা পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশং ফোরাম ও সামাজিক সংগঠন লোকাল বয়েজের সহযোগিতায় উপজেলার উত্তর ষাইটকাকড়া গ্রামের ওই অসহায় বর্গাচাষীর ২৫ শতাংশ জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন, নালিতাবাড়ি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোখলেছুর রহমান, শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার, ওসি (তদন্ত) বন্দে আলী, তাতিহাটি ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহ বিল্লাল, থানা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, পৌর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন, লোকাল বয়েজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এজেড রুমান সহ থানা পুলিশের অফিসারবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্য ও লোকাল বয়েজের সদস্যরা।
বর্গচাষী অসহায় কৃষক মোফাজ্জল হক বলেন, আমি গরীব মানুষ। শ্রমিক ও টাকার সংকটে ধান কাটতে পারছিলাম না। শ্রীবরদী থানা পুলিশ খবর পেয়ে আমার ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন, ওই বর্গচাষী আমাদের পুলিশকে অবগত করেছিল যে, শ্রমিক ও টাকার সংকটে সে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছে না। পরে জেলা পুলিশের উদ্যোগে তার ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া হয়েছে। দেশের পুলিশ সবসময় অসহায় প্রান্তিক কৃষক ও মানুষদের সহযোগিতা করবে। তিনি আরো বলেন, কেউ যদি শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে না পারে, সেক্ষেত্রে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা ধান কেটে দেওয়ার চেষ্টা করবো। আগামীতে আমাদের এ ধান কাটা উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।