শ্রীবরদীতে অসহায় মহিলার ধান কেটে দিল পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা ভাইরাসে বিস্তার রোধে দেশের বিভিন্ন এলাকার ন্যায় শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। এতে করে শ্রমিক সংকট পড়েছে কৃষকরা। অপরদিকে বোর ধান পেকে গেছে। কিন্তু শ্রমিক না পাওয়ায় পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকরা। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেনের উপস্থিতিতে শ্রীবরদীতে অসহায় কৃষক আজিজুল হকের স্ত্রী ফুলমালা বেগমের ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ।
জানা যায়, কৃষক আজিজুল হক ঢাকায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। বোরো ধান পেকে গেলেও লকডাউন থাকায় সে বাড়ী আসতে পারেনি। অপরদিকে ওই ধান ক্ষেতের তদারকি করত কৃষক আজিজুল হকের স্ত্রী ফুলমালা বেগম। শ্রমিক না পেয়ে ক্ষেতের পাকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল ফুলমালা বেগম। খবর পেয়ে শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদারের সহযোগিতায় শ্রীবরদী থানা পুলিশ, কুড়িকাহনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান, কমিউনিটি পুলিশং ফোরামের সদস্যরা কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের ইন্দলপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ওই অসহায় কৃষকের ১ একর জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার, ওসি (তদন্ত) বন্দে আলী, কুড়িকাহিনয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম, থানা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, পৌর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন, থানা পুলিশের অফিসারবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্যরা।
অসহায় কৃষক আজিজুল হকের স্ত্রী ফুলমালা বেগম বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় কাজ করে। করোনার জন্য বাড়িতে আসতে পারেনি। ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ক্ষেতের পাকা ধান নিয়ে খুব বিপদে ছিলাম। শ্রীবরদী থানা পুলিশ খবর পেয়ে আমার ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে। তাদের জন্য দোয়া রইল আল্লাহ তাদেরকে হেফাজত করুন।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন বলেন, ওই কৃষকের স্ত্রী ফুলমালা বেগম শ্রমিক ও টাকার সংকটে সে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছে না। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের উদ্যোগে তার ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া হয়েছে। দেশের পুলিশ সবসময় অসহায় প্রান্তিক কৃষক ও মানুষদের সহযোগিতা করবে। তিনি আরো বলেন, কেউ যদি শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে না পারে, সেক্ষেত্রে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা ধান কেটে দেওয়ার চেষ্টা করবো। আগামীতে আমাদের এ ধান কাটা উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।