শ্রীবরদীতে রাস্তার বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরমে: ধানগাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ

শ্রীবরদীতে রাস্তার বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরমে: ধানগাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদীতে রাস্তার বেহাল দশায় জনদূর্ভোগ লাঘবে ধানগাছ লাগিয়ে রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়ের ভায়াডাঙ্গা-কাকিলাকুড়া-বকশীগঞ্জ রোডের বাঘহাতা তালগাছ মোড় (নওয়াব মাস্টারের বাড়ী) থেকে বাঘহাতা, ঘোনাপাড়া হয়ে কন্টিপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশায় জনদূর্ভোগ চরমে। পুরো রাস্তাটিই কাঁচা। সামান্য বৃষ্টিতেই যান চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। হাঁটা চলা করা খুব কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। কেউ অসুস্থ্য হলে নিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য এম্ব্যুলেন্স নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা রিক্সা, ভ্যান চলাচলেরও কোন উপায় থাকে না। এতে করে ৫ গ্রামের মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে গত মঙ্গলবার এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ৫ ট্রলি ইটের রাবিশ দিয়েছে। কিন্তু এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বারবার অবগত করলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এতে করে ভোক্তভোগীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। রাস্তাটি পাঁকা করে জনদুর্ভোগ লাঘবে ভোক্তভোগীরা শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চাঁনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

জানায়ায়, র্দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকার সবগুলো রাস্তাই কাঁচা। কাঁচা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই সবগুলো রাস্তা চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এলাকার রাস্তাগুলো সংস্কার না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। বাঘহাতা (নওয়াব মাস্টারের বাড়ী) মোড় হতে ঘোনাপাড়া, কন্টিপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। এলাকাগুলোতে ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু যখন প্রতিষ্ঠান খোলা থাকে তখন শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টি হলে জনসাধারনের চলাচল যেমন মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে, তেমনি ওই এলাকার মানুষজন পণ্য নিয়ে ভোগান্তিতে পড়ে। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করতে প্রতিদিনই হিমশিম খাচ্ছে এলাকাবাসী।

ওই এলাকার বাসিন্দা বিএডিসি’র উপ-সহকারি পরিচালক ইমরান বিল্লাহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোক্তাদির বিল্লাহ, সহকারি শিক্ষক মোজাম্মেল হক সহ একাধিক ভোক্তভোগী’রা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই এলাকার রাস্তাঘাটের কোন উন্নয়ন হয়নি। শ্রীবরদী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৯ সালে লিখিতভাবে রাস্তা পাকা করণের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু অদ্যবদি পর্যন্ত কোন কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
রানীশিমুল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, রাস্তাটি দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপশি ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ বন্ধ থাকা মেরামত করা যাচ্ছে না। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, রাস্তাটি কাজের অনুমোদন পেলে দ্রুত সংস্কার করা হবে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend