শ্রীবরদীতে আজগর হত্যা মামলার প্রধান আসামী টুঙ্গীপাড়া থেকে আটক
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদীতে আজগর আলী (৬৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইকবাল হোসেন (২৮) কে আটক করেছে পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানাধীন বাশবাড়িয়া এলাকায় জৈনক ইট ভাটার শ্রমিকদের থাকার ঘর থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে ৪ নভেম্বর বুধবার রাতে শ্রীবরদী থানায় নিয়ে আসা হয়। শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদারের নেতৃত্বে এসআই সুমন মিয়া, এসআই মোফাখ্খির উদ্দিন ও এএসআই শহিদুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালায়। এসময় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার প্রধান আসামী ইকবালকে টুঙ্গীপাড়া থেকে আটক করতে সক্ষম হয়। ধৃত ইকবাল সাতক্ষীরা জেলার আসাসুনি থানার গদাইপুর গ্রামের মৃত ইউছুব মোল্লা ওরফে খোকনের ছেলে।
জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার পূর্ব চককাউরিয়া গ্রামের আজগর আলীর মেয়ে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজিয়া খাতুনের সাথে সাতক্ষীরা জেলার আসাসুনি থানার গদাইপুর গ্রামের মৃত ইউছুব আলীর ছেলে ইকবাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের লোকজন ওই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। একপর্যায়ে রাজিয়াকে পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় বড় বোনের বাসায় রেখে আসে। সেখানে গিয়েও তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রাজিয়ার পরিবার বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ইকবাল। পরে মোবাইল ফোনে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে।
এরপর গত ২৮ অক্টোবর বুধবার ভোররাতে উপজেলার পূর্ব চকাউরিয়া গ্রামে রাজিয়ার বাবা আজগর আলী (৬৫) গোয়াল ঘরে খুন হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত জন্য শেরপুর মর্গে প্রেরণ করে। এঘটনায় ওইদিন রাতে আজগর আলীর ছেলে মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে ইকবাল ও রুবেল নামে ২ জনকে আসামী করে শ্রীবরদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। হত্যা রহস্য উদঘাটন ও আসামী ধরতে তৎপর হয় পুলিশ। মামলার পরপরই এজহারনামীয় আসামী পূর্ব চককাউরিয়া গ্রামের সাদা মিয়ার ছেলে রুবেলকে আটক করে। পরে হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামী ইকবালকে আটক করতে অভিযানে নামে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদারের নেতৃত্বে এসআই সুমন মিয়া, এসআই মোফাখ্খির উদ্দিন ও এএসআই শহিদুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ৩ নভেম্বর রাতে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানাধীন বাশবাড়িয়া এলাকায় জৈনক ইট ভাটার শ্রমিকদের থাকার ঘর থেকে ইকবাল কে আটক করে। পরে ০৪ নভেম্বর রাতে পুলিশ তাকে শ্রীবরদী থানায় নিয়ে আসে। ০৫ নভেম্বর দুপুরে ধৃত ইকবালকে শেরপুর কোর্টে প্রেরণ করে।
এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, আজগর আলী হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে টুঙ্গীপাড়া থেকে মামলার প্রধান আসামী ইকবালকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আটক করতে সক্ষম হই। আসামীকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে শেরপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।