শ্রীবরদীতে ১২দিনেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আটককৃত ৬২ বস্তা চালের রহস্য উদঘাটন হয়নি
স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুরের শ্রীবরদীতে ১২ দিনেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের আটককৃত ৬২ বস্তা চালের রহস্য উদঘাটন হয়নি। এ নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্হানীয়বাসিন্দারা জানান,গত ২৮ অক্টোবর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহানা বিলকিজের নেতৃত্বে থানা পুলিশ তাতি হাটি ইউনিয়নের শালমারা বাজারের ব্যাবসায়ী খোরশেদ আলমের ভাড়া করা ঘর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৬২ বস্তা চাল আটক করে। পরে আটককৃত চাল খোরশেদ আলমের ভাড়া করা ঘর মালিক ইউপি সদস্য লৎফর রহমানের জিম্মায় রাখা হয়। লৎফর রহমান বলেন চালগুলো তার জিম্মায় আছে। বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে, আটককৃত ৬২ বস্তা চালের মধ্যে ৫০ বস্তা ৩০ কেজি ওজনের। তাতে খাদ্য অধিদপ্তরের সিল রয়েছে। ১২ বস্তা ৫০ কেজি ওজনের। স্হানীয় বাসিন্দারা জানান,খোরশেদ আলমের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম তাতিহাটি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার। তার আরেক বড়ো ভাই আবু জাফর উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য। অনেকেরই ধারনা এ কারনেই গত ১২ দিনেও আটককৃত চালের রহস্য উদঘাটন হয়নি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহানা বিলকিছ বলেন আটককৃত চালের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। শ্রীবরদী থানার এসআই রোকন উদ্দিন বলেন , খাদ্য বিভাগের সহায়তার জন্য আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আটককৃত চালের জব্দ তালিকা তৈরি করি। চালগুলো খাদ্য বিভাগের কি না তা যাচাই বাচাই করে ব্যবস্তা নেবেন খাদ্য বিভাগ। কিন্ত এ ব্যাপারে খাদ্য অধিদপ্তরের কোন তৎপরতা নেই বললেই চলে। খোরশেদ আলমের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার বলেন চাল আটকের বিষয়টি আমি জেনেছি। পুলিশ বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছে। তারাই বলতে পারবে।
Block Title
Title
Short Description
Title
Short Description