শ্রীবরদীতে জিংক ধান ব্রি ধান-৭২ প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদীতে জিংক ধান ব্রি ধান-৭২ এর প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে আইএফপিআরআই-হারভেষ্টপ্লাসের বাস্তবায়নে বিংস প্রকল্পের আওতায় রোববার বিকালে উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের রানীশিমুল গ্রামে জিংক ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার। বক্তব্যে তিনি, জিংক সমৃদ্ধ ধানের বিভিন্ন জাত, চাষাবাদের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং মাঠ পর্যায়ে বিংস প্রকল্পের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
বিংস প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার মানিক দেবনাথ বলেন, জিংক উপাদান মানবদেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনুপুষ্টি। জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার ফলে ছেলেমেয়েরা খাটো হয়না, শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ হয়, ক্ষুধামন্দা দূর করে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গর্ভবতী মায়েদের জিংকের অভাব হলে শারীরিক দূর্বলতা দেখা দেয় এবং শিশুদের স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেজন্য জিংক সমৃদ্ধ ধানের চাষাবাদ অপরিহার্য। তিনি আরো বলেন, জিংক ধানের ভাত খেলে প্রায় ৭০ শতাংশ জিংকের চাহিদা পূরণ হয়।
জানা যায়, প্রদর্শনীর নমুনা ফসল কর্তন করে বিঘা প্রতি ২১ মণ (৬.৩ টন প্রতি হেক্টর) ফলন পাওয়া যায়। উক্ত ফলনে উপস্থিত কৃষকসহ অন্যান্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ধানের বীজ সংরক্ষণ/সংগ্রহ করে পরবর্তী বছরেও চাষাবাদ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালন করেন বিংস প্রকল্পের সিইএস হুমায়ুন কবির।
উল্লেখ্য আমন মৌসুমে বিংস প্রকল্পের আওতায় শ্রীবরদী উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৪ কেজি করে জিংক সমৃদ্ধ ধান বীজ ব্রি ধান-৭২ ও বিনাধান-২০ বিতরণ করা হয়েছে এবং ১৫০ জন কৃষককে প্রদর্শনী প্লটের সুবিধা দেওয়া হয়। আগামী বোরো মৌসুমে প্রায় ২ হাজার কৃষককে জিংক সমৃদ্ধ ধানের বীজ বিতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এসময় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।