শ্রীবরদীতে ভেজাল গুড় কারখানায় অভিযান: ৪ জনের কারাদন্ড
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভেজাল গুড় কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ১০ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের কুরুয়া গ্রামে আঙ্গুর মিয়ার ভেজাল গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউর রহমান নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করে।
জানা যায়, উপজেলার কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের কুরুয়া গ্রামে আঙ্গুর মিয়া দীর্ঘদিন যাবত অনুমোদন বিহীন ভাবে ভেজাল গুড় তৈরি করে আসছিল। খবর পেয়ে ইতোপূর্বেও ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে গুড় তৈরির বিভিন্ন জিনিসপত্র নষ্ট করে। পরে তাদেরকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে আবারো কারখানায় ভেজাল গুড় তৈরি শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউর রহমান। এসময় শেরপুর জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো. মুন্তাসির বিল্লাহ, উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর একেএম মাসুুদুর রহমান, এসআই নাজমুল আমিন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুমোদন বিহীন ও অসাস্থ্যকর পরিবেশে গুড় তৈরির অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ ধারায় কারখানা মালিক আঙ্গুরের জামাতা কুরুয়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রুকুনুজ্জামানকে ১০ দিনের, সিরাজগঞ্জ সদরের পাচঘড়ি গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে রুকন আলী, মৃত আকান্ডিয়ার ছেলে কালা চান ও মৃত ছবদের আলীর ছেলে শাহ আলম প্রত্যেককে ৭ দিনের করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি প্রায় ৪০০ কেজি ভেজাল গুড় জব্দ করে জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়। এসময় ২১ বস্তা চিনি, ওজন মাপার মেশিন, গুড় তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় রাখা হয়।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউর রহমান জানান, জনস্বার্থে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।