শ্রীবরদীতে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা: ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসন
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক মো. আমানুল্লাহর বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আতাউর রহমান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার বলেন, নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর পাশে উপজেলা প্রশাসন রয়েছে। ঘটনাটি জানার পর থেকেই আমরা খোঁজ খবর রাখছি। এসময় ওই শিক্ষার্থীকে সার্বিক সহযোগিতা ও ন্যায় বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন।
পরিবারের সদস্য ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নের পূর্ব খরিয়া গ্রামের নূর হেরা নূরানী তালিমুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আসিফুলকে সোমবার দুপুরে পিটিয়ে জখম করে শিক্ষক মো. আমানুল্লাহ। বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শিক্ষার্থীর বাবা খলিলুর রহমান খোকন বলেন, ‘আমার ছেলে নিয়মিত মাদ্রাসায় যেত। পারিবারিক সমস্যার কারণে এক দিন যায়নি। তাই সোমবার মাদ্রাসায় যাওয়ার পর দুপুরে সহকারী শিক্ষক মো. আমানুল্লাহ আমার ছেলেকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। তিনি আরো বলেন, ‘আমার অসুস্থ ছেলেকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। শরীরের জখম দেখে আমি তাকে রাতে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এমন শিক্ষকের বিচার চাই।’
শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।