ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ী ঢলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত: ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা!
স্টাফ রিপোর্টার:
গত দুইদিনের প্রবল বৃষ্টিতে আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ৯ জনু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহারশী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা পরিষদ, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস সহ ঝিনাইগাতী বাজারের দোকান-পাটে পানি প্রবেশ করে মালামাল নষ্ট হয়েছে। এতে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন অফিস সহ নির্বাচন অফিসে নিচতলায় পানি প্রবেশ করায় ইভিএম মেশিন সহ অনেক মালামাল পানিতে তলিয়ে গেছে।
রামেরকুড়া বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ঝিনাইগাতী বাজারে হাটু পানি।এছাড়াও মহারশী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর পাশে শেরপুর ঝিনাইগাতী হাইওয়ে রাস্তার উপর দিয়ে প্রচন্ড বেগে স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। ঢলের পানিতে শালচুরা, ডাকাবর, বহনকালি, দিঘিরপাড়, খৈলকুরা, রামনগর, চতল এলাকায় অধিকাংশ বাড়িতে হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝিনাইগাতী বাজার থেকে বনগাঁও হয়ে তিনানি বাজারে যাতায়াতের পাকা রাস্তার উপর দিয়ে কয়েক জায়গায় পানির স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বহু পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে।
অপরদিকে সোমেশ্বরী ও পাগলা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের অন্তত পাঁচটি গ্রাম ও ধানশাইল ইউনিয়নের অনেক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ধানশাইল বাজারে অনেক দোকানে পানি প্রবেশ করেছে। ধানশাইল ইউনিয়নের ধানশাইল ব্র্যাক অফিস থেকে দক্ষিণ দিকে সাজু মাষ্টারের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা তিন জায়গায় এবং দারিয়ারপাড় বড়বাড়ী থেকে ফারাজিবাড়ী পর্যন্ত দুই জায়গায় রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। কাংশা ইউনিয়নের দুধনই থেকে কাংশা যাওয়ার পাকা রাস্তা ভেঙ্গে প্রবল বেগে স্রোত বয়ে যাচ্ছে এবং ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাগেরভিটা চাপাতলী ব্রিজের পূর্ব পাশে ব্রিজের কাছে রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেন, সকাল থেকে পানি আসতে শুরু করেছে। উপজেলা পরিষদে পানি উঠায় অফিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টি দীর্ঘ স্থায়ী হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে এবং আরও নিচু এলাকা প্লাবিত হবে।