শ্রীবরদীতে স্ত্রী, শাশুড়ী ও জেঠা শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা করলো জামাই
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদীতে বোরকা পড়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে ৩ জনকে হত্যা করেছে মিন্টু মিয়া। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পুটল গ্রামে মিন্টু মিয়া শশুড় বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী মনিরা বেগম (৩৫), শ্বাশুড়ী শেফালী বেগম(৫০) ও জেঠা শ্বশুর আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ ওরফে মাহামুদ (৬৫) কে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নিহত মনিরার পিতা মনু মিয়া (৬০), ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন (২৫) ও নিহত নুর মোহাম্মদের স্ত্রী সাহেরা খাতুন (৫৫) গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে । এ ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পুটল গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে মনিরা বেগমের সাথে পার্শ্ববর্তী গেরামারা গ্রামের হাই মদ্দিনের ছেলে মিন্টু মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিবাহিত জীবনে তাদের দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো। কিছুদিন আগে মনিরা বাবার বাড়িতে চলে আসে। এরই জের ধরে মিন্টু ২৩ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে বোরকা পড়ে দা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে হামলা করে। প্রথমে পাকের ঘরে গিয়ে স্ত্রী মনিরা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে শাশুড়ী শেফালী খাতুন, শশুর মনু মিয়া, শ্যালক শাহাদাত, জেঠা শ্বশুর নুর মোহাম্মদ, জেঠি শাশুড়ি সাহেরা খাতুন মাহামুদকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার পার্শ্ববর্তী বকশিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শেফালী বেগম ও নুর মোহাম্মদকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যান্যদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন আসামী গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।