শ্রীবরদী’র সম্ভবনাময় পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করলেন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সম্ভবনাময় পর্যটনকেন্দ্র রাজা’র পাহাড় ও সোনাঝুড়ি পরিদর্শন করলেন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা। ১৬ সেপ্টম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী সিংগাবরুণা ইউনিয়নের রাজার পাহাড় ও রানীশিমুল ইউনিয়নের সোনাঝুড়ি পরিদর্শন করেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা। পরিদর্শনের সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) সুকেশ কুমার সরকার, শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফতেখার ইউনুস, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আতাউর রহমান, থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, শেরপুর জেলার সহকারি বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ, রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক শরিফুল ইসলাম, বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা এবং উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফতেখার ইউনুস। এসময় অতিথিবৃন্দ শ্রীবরদীর গারো পাহাড়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য অবলোকন করে মুগ্ধ হয়ে পড়েন। স্থানীয়দের ধারনা এখানে পর্যটন কেন্দ্র হলে শেরপুর জেলার ব্র্যান্ডিং ‘তুলসিমালার সুগন্ধে পর্যটনের আনন্দে” নতুন মাত্রা যোগ হবে। এছাড়াও অতিথিবৃন্দ ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশ ও গারো পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য রাংটিয়া এলাকায় মোটেল এর জায়গা পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড় আর নদী ঘেরা শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী গাড়ো পাহাড়। অবারিত সবুজের সমারোহে সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি সৃষ্টি হয়েছে। রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য টিলা। পাহাড়ের চুড়ায় উঠলে সবুজের সমারোহে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে চোখ জুড়ায়। যেদিকে চোখ যায় শুধু পাহাড় আর পাহাড়। যারা দৃশ্যগুলো অবলোকন করেছেন, তারাই অনুভব করতে পেরেছেন গারো পাহাড়ের অন্যতম আকর্ষনীয় সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র রাজার পাহাড়। রাজার পাহাড়ের একটু দুরেই বালিঝুড়ি রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন সোনাঝুড়ি (নেওয়াবাড়ি টিলা)। সবুজ আর নীলের সংমিশ্রণে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আকাশ ছোঁয়া বিশাল পাহাড়। এর নৈশর্গিক দৃশ্য মনকে করে আবেগ তাড়িত। পাহাড় বেষ্টিত সীমান্ত সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই অসংখ্য ভ্রমণ পিপাসুরা এ দৃশ্য অবলোকন করে।
শ্রীবরদীর গারো পাহাড়ে আদীবাসি, কোচ, হাজং সহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বসবাস। সোমেশ্বরী ও ঢেউফা নদী পাহাড়ের সৌন্দর্যকে অনেক গুনে বাড়িয়ে তুলেছে। এছাড়াও রয়েছে আদিবাসীদের সংস্কৃতি, সংরক্ষণ ও চর্চার কেন্দ্র বাবেলাকোনা কালচারাল একাডেমি, যাদুঘর, কারুকার্য মন্ডিত ধর্মীয় গীর্জা, মন্দির, উপাসনালয ও অসংখ্য প্রাকৃতিক নিদর্শন। শ্রীবরদী’র রাজার পাহাড় ও সোনাঝুড়ি পর্যটন কেন্দ্র হলে ভ্রমণ পিপাসুদের চাহিদা পূরণে যোগ হবে নতুন মাত্রা। দেশে পর্যটন শিল্প উন্নয়নে আয় হবে বছরের লাখ লাখ টাকা। এখানকার আদীবাসী সহ স্থানীয় বেকারদের হবে কর্মসংস্থানের নতুন পথ। দেশি বিদেশী পর্যটকদের পদভারে আরো মুখরিত হয়ে ওঠবে এ পাহাড়গুলো