শ্রীবরদীতে অটোরিকশা চালক মোশারফ হত্যার ঘটনায় আটক-৪
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেন হত্যার ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। ২০ সেপ্টেম্বর রাতে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো মুক্তগাছা উপজেলার বিঞ্চুপুর গ্রামের মৃত শুক্কুর আলী মুন্সির ছেলে আবু হানিফ (৬০), কিশোরগঞ্জ জেলার গাগ লাইল গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে আতিকুর রহমান (৩৫), জামালপুর সদর থানার রানারামপুর গ্রামের মৃত ছফর উদ্দিন ওরফে কালুর ছেলে ইউছুব আলী ও নীলামারী সদর থানার সইদের বড় গাছা (বানিয়াপাড়া) গ্রামের মৃত হরমুজ আলী মুন্সির ছেলে লুকমান হেকিম (৪৩)। ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে আটককৃতদের শেরপুর আদালতে প্রেরণ করলে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার কুড়িকাহিনয়া মধ্য পাড়া গ্রামের মৃত জাকির হোসেন ওরফে বাতাসুর ছেলে অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেন অটোরিকশা সহ নিখোঁজ হয়। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার খড়িয়াকজির চর ইউনিয়নের উলুকান্দা গ্রামের গলাকাটা নামক স্থানে রাস্তার পাশে ডোবার পানি থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহতের ছেলে হৃদয় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একমটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলা নিয়ে অভিযানে নামে শ্রীবরদী থানা পুলিশ।
শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে এস.আই সাইফুল মালেক, এসআই আশিকুর রহমান, এএসআই কামরুল ইসলাম সঙ্গীয়ফোর্স সংশ্লিষ্ট থানাধীন পুলিশ ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানাধীন বাসস্ট্যান্ডের লাজু আবাসিক হোটেল থেকে আবু হানিফ, আতিকুর রহমান, ইউছুব আলী ও লুকমান হেকিমকে আটক করে শ্রীবরদী থানায় নিয়ে আসা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে নেশা জাতীয় দ্রব্য, ঘুমের ওষুধ ও এলইডি লাইটের কাটুর্ন উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোশারফের অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেন হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে হৃদয় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানাধীন লাজু আবাসিক হোটেল থেকে আসামীদেরকে আটক করা হয়। পরে বুধবার দুপুরে তাদেরকে শেরপুর কোর্টে প্রেরণ করলে আসামীরা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে।