শ্রীবরদীতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ ॥ পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী অন্ত:সত্ত্বা
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়নের বড়ইকুচি গ্রামে। এ নিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত লাল চাঁন মিয়ার ছেলে সুরুজ্জামান (৪৪) কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই সুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীর বাবা ঢাকায় দিন মজুর হিসেবে কাজ করে। ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী বড়ইকুচি গ্রামে একটি বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। স্কুলে যাওয়ার সময় একই এলাকার সুরুজ্জামান ওই ছাত্রীকে মাঝে মাঝে উত্যক্ত করতো। গত ২৮ জুন রাতে সুরুজ্জামান ওই শিক্ষার্থীকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বসত বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে গোয়াল ঘরে নিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে স্কুল শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে পরিবারের লোকজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানায় শিক্ষার্থী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েছে। পরে ওই শিক্ষার্থী তার মা ও পরিবারের লোকজনদের সুরুজ্জামান কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলে।
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সুরুজ্জামানকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধৃত আসামীকে শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।