শ্রীবরদীতে বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক মুন্সী বীর প্রতীক (বার) এঁর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদী পৌর শহরের খামারিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা বীর প্রতীক ‘বার’ কমান্ডার জহুরুল হক মুন্সীর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুর আড়াইটায় শ্রীবরদী সরকারি কলেজ মাঠে শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গত রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন) । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ৩ ছেলে, এক মেয়ে ও আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘জহুরুল হক মুন্সী’ একমাত্র ‘বীর প্রতীক বার’ বীরত্বের উপাধি পাওয়া বীরপুত্রের মৃত্যুে শোকাহত তার পরিবার, স্বজন, সহযোদ্ধা ও আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয়রা।
আজ সোমবার ( ৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুর আড়াইটার দিকে শ্রীবরদী সরকারি কলেজ মাঠে মরহুমের জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দেয়া হয়। এতে অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফতেখার ইউনুস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব মো. নুরুল ইসলাম হিরু, জামালপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মখলেছুর রহমান হিরু, থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস। জানাজার আগে মরহুমের বর্ণাঢ্যময় জীবনের স্মৃতি চারণ করে অন্যান্যের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম, শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম আলিফ উল্লাহ আহসান, পৌর সভার মেয়র মোহাম্মদ আলী লাল, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ ছালেহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আকন্দ, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল ও আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মতিন প্রমূখ।
এসময় পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক মুন্সী বীর প্রতীক ‘বার’ এর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মো, মনিরুল ইসলাম। বীরত্বে গাঁথা মুক্তিযোদ্ধার জানাজায় অংশ নেন স্বজন ও সহযোদ্ধাসহ সহাস্রাধিক লোক। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।এর আগে সকাল ১১ টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় মরহুমের জন্মস্থান পার্শ্ববর্তী বকশিগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রাবাজ গ্রামের রশিদা বেগম শিক্ষা কমপ্লেক্সে । তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল থেকে শোক প্রকাশ করা হয়।